Cvoice24.com

কঠোর হুঁশিয়ারি সরকারের
ছেলে ধরা আতঙ্কে জনগণ, ১৫ দিনে গণপিটুনিতে নিহত ১২

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২৩ জুলাই ২০১৯
ছেলে ধরা আতঙ্কে জনগণ, ১৫ দিনে গণপিটুনিতে নিহত ১২

‘ছেলে ধরা গুজব’ এমন একটি কথায় স্থানীয় জনমনে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর ডালপালাও বিশাল আকার ধারণ করেছে। কিছুদিন ধরে দেশে ছেলে ধরা সন্দেহের বশে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার প্রবণতা বেড়েছে। এ সন্দেহের জেরে অনেক নির্দোষ ব্যক্তিই এ ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গণপিটুনিতে অনেকে হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যকে। 

সম্প্রতি ছেলে ধরা সন্দেহে হতাহতের ঘটনার জেরে সোমবার (২২ জুলাই) সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতা উচ্চারণ করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়েছে। ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো বিষয়ে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, কেরানীগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, গাজীপুর, নেত্রকোনা, পটুয়াখালীত, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, বাড্ডা, বান্দরবান এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ছেলে ধরা সন্দেহে গত ১৫ দিনে গণপিটুনিতে প্রায় ১২ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। 

‘ছেলে ধরা’ একটি গুজব। এর কোনো ভিত্তি নেই। সম্প্রতি ছেলে ধরা সন্দেহের ভিত্তিতে গণপিটুনিতে নিজ হাতে আইন তুলে না নিতে এবং এ বিষয়ে পুলিশকে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে এবং প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করে তথ্য দিতে অনুরোধ করেছেন পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় এ ধরনের কোন তথ্য থাকলে ০৩১-৬৩০৩৭৫ অথবা ০১৭৬৯-৬৯১১৬২ নাম্বারে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছেলে ধরা সন্দেহে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নে গত ১৬ জুলাই তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা হলেন- কক্সবাজার জেলার লোহাগড়া থানার আব্দুল মালেক (৬০), নুর কবির (২৮) ও নুর ইসলাম (৬০)। এরপর চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া এলাকায়ও গত ২২ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা।

-সিভয়েস/এমএম/এএইচ

মিনহাজ মুহি 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়