Cvoice24.com


পায়েল হত্যা মামলা, মাঝপথে বিচার থেমে যাওয়ায় পরিবারের হতাশা

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২২ জুলাই ২০১৯
পায়েল হত্যা মামলা, মাঝপথে বিচার থেমে যাওয়ায় পরিবারের হতাশা

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলা স্থগিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে তার পরিবার। পায়েল হত্যার এক বছর পেরোনোর দিন সোমবার (২২ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ হতাশার কথা জানায় তারা।

সংবাদ সম্মেলনে পায়েলের বাবা গোলাম মাওলা বলেন, “চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল আদালতে চলা মামলাটির অনেক অগ্রগতি হয়েছিল। নয় জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু আসামি পক্ষের আবেদনে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করায় আমরা হতাশ। আমি চাই দ্রত সময়ে আমার ছেলে হত্যার বিচার সম্পন্ন হোক।”

পায়েল হত্যাকাণ্ডের সময় গোলাম মাওলা প্রবাসে থাকলেও তিনি দেশে চলে এসেছেন।

গত বছরের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

পায়েলের লাশ উদ্ধারের পরদিন ২৪ জুলাই তার মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে বাসচালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামাল ও ফয়সাল ভাই। তারা তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম সরওয়ার্দী বলেন, ২২ জুলাই ভোরে বাস যখন মুন্সীগঞ্জে, তখন প্রস্রাব করতে নেমেছিলেন পায়েল। কিন্তু বাসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন। তখন ‘দায় এড়াতে’ চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে আহত পায়েলের মুখ থেঁতলে দিয়ে নদীতে ফেলে দেন।

হত্যা মামলায় গত ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ‍পুলিশ, তাতে জনি, জামাল ও ফয়সালকে আসামি করা হয়।

গোলাম সরওয়ার্দী বলেন, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার শুরুর পর তাদের আবেদনে মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তর হয়।

গত ২ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামের আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরুর পর বাদী সরওয়ার্দী বিপ্লব, পায়েলের দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্ত, পায়েলের মা কোহিনূর বেগম, মামা ফাহাদ চৌধুরী দিপু ও ভাগ্নিপতি আইয়ুব আলী, গজারিয়া থানার এসআই ও পায়েলের সুরতহালকারী সফর আলী, পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেনসহ মোট নয়জন সাক্ষ্য দেন।

সরওয়ার্দী বলেন, গত ৯ জুন বিচার কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ নেন আসামিরা। পাশাপাশি মামলাটি কেন ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হবে না, তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে আদেশও দেয় উচ্চ আদালত।

তিনি বলেন, “আমরা আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে মামলা চালাতে চাই। এই জন্য আমাদের আইনজীবীরা কাজ করছেন। আমাদের দাবি, দ্রুততম সময় তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

সংবাদ সম্মেলনে পায়েলের মা কোহিনূর বেগম, মামা কামরুজ্জামান টিটু, ফাহাদ চৌধুরী দীপু উপস্থিত ছিলেন।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়