Cvoice24.com


চকরিয়া-পেকুয়ায় পানিবন্দি ৫ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ১০:০২, ১৩ জুলাই ২০১৯
চকরিয়া-পেকুয়ায় পানিবন্দি ৫ হাজার মানুষ

ছবি : প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট ও ঘরবাড়ি। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ হাজার মানুষ।

ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মাতামুহুরী নদীর উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই তীর উপচে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে পেকুয়ার উপজেলার মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী ও শিলখালী এবং চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর, মানিকপুর, কাকারা, বরইতলী ও হারবাং সহ অন্তত্য ১০ গ্রামের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। এতে সংকট দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির। মানুষের চলাচলসহ দৈনন্দিন কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার লোক। 
স্থানীয়রা বলছেন বড়িবাঁধ পূর্ণ সংস্কার না করাও কিছু অসাধু সিন্ডিকেট মাছ ধরার জন্য স্লুইচ গেইটে জাল বসিয়ে পানি আটকে রাখার কারনণ জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে।

পেকুয়ার মগনামার উজানটিয়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেন জানান, ‘গত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণ বেড়িবাধগুলো ঠিকভাবে করা হয়না। যেনতেন ভাবেই করা হয়।’।

চকরিয়া উপজেলার কাকারা এলাকার রাবেয়া খাতুন নামে এক নারী জানান, প্লাবনের কারণে তার প্রায় এক একর সবজি খেত পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া তার ঘরে পানি উঠেছে। তিনি পরিবার নিয়ে একই পাড়ায় তার আত্মীয়ের বাসায় চলে যাচ্ছেন।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম জানান, অতি বৃষ্টির ফলে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে ওসব এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের বলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পানি কমে আসছে। তাই লোকজন সরতে চাইছেনা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, মাতামুহুরী নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে চকরিয়া ৫-৬ টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে সকাল থেকে পানি নামতে শুরু করে। জরুরী মুহুত্বে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

সিভয়েস/আই

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়