Cvoice24.com


শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন দেওয়ার ঘটনায় ইউএসটিসির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১১ জুলাই ২০১৯
শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন দেওয়ার ঘটনায় ইউএসটিসির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি)'র ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চারজন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এদের একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার ও তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য দেন ইউএসটিসির প্রক্টর নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।

তিনি জানান, এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসানকে ছাত্রত্ব বাতিল করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। মাইনুল আলম, শেখ রাসেল ও মো. আরিফ হোসেনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, কেরোসিন দেওয়ার ঘটনার দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে মাসুদ মাহমুদকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থল থেকেই  মাহমুদুল হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির তদন্তে আরো তিনজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মোট চারজনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসানকে ছাত্রত্ব বাতিল করে স্থায়ী বহিষ্কার,  বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বহিষ্কৃতদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন ১৫ জুলাই পর্যন্ত নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত চিঠি দেওয়ার সুযোগ থাকবে। 

সংবাদ সম্মলেনে উপস্থিত  ছিলেন সহকারী প্রক্টর এসএম সোয়েব, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ও বৈশাখী বিশ্বাস ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার দিলীপ কুমার বড়ুয়া। 

এদিকে গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 
বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. সফি ‍উদ্দিন এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কার্যত অচল চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ


শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের অনড় অবস্থানের মুখে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম নার্সিং শিক্ষা কার্যক্রম। ষষ্ঠ দিনের মতো ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। 

গত শনিবার (৬জুলাই) থেকে চার দফা দাবির আদায়ে শুরু হওয়া আন্দোলের বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) বিক্ষোভ মিছিলে রুপ নেয়। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশহিসেবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিবিজিএসএনও)। এতে  বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনতরা। তারা কর্মসূচিতে দাবির স্বপক্ষে স্লোগান দেন। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনেরর (বিবিজিএসএনও) সহসভাপতি সাব্বির  আহমেদ খান সিভয়েসকে বলেন,  চার দফা দাবি আদায়ে আজ কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। কলেজের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনের দাবির বিষয়ে কোনো সাড়া পাননি বলেও জানান তিনি। 

এর আগে নার্সিং পেশায় স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস (বিসিএস) চালু, ইন্টার্ন ভাতা ছয় হাজার থেকে ২০ হাজারে উন্নীত করা, নার্সিং কলেজকে পূর্ণাঙ্গ কলেজে রুপান্তর এবং পুরাতন পাঠদান বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। যা আজ ষষ্ঠ দিনের মতো দেশের সকল নার্সিং কলেজে একযোগে পালিত হয়েছে। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ বাসন্তী রায় সিভয়েসকে  বলেন, আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। দাবির বিষয়ে আন্দোলতদের সাথে কথা বলুন, তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে করছে তারাই ভালো বলতে পারবে। এখন পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো ব্যাহত হয়নি। কিন্তু এটি দীর্ঘদিন ধরে চললে সমস্যা হতে পারে। 

সিভয়েস /এমআই/

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়