Cvoice24.com


পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি, পানিবন্দী ৫ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৮ জুলাই ২০১৯
পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি, পানিবন্দী ৫ হাজার মানুষ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা মগনামা ইউনিয়নের শরত ঘোনা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মগনামা লঞ্চঘাট থেকে শরত ঘোনা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় এক কিলোমিটার অরক্ষিত বেড়িবাঁধ উপচে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। জোয়ারের পানির ধাক্কায় ক্রমশ ভাঙ্গছে নাজুক বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করা সাগরের পানিতে ইউনিয়নের বাজার পাড়া, বহদ্দার পাড়া, শরত ঘোনা, উত্তর পাড়ার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ জানান, বেড়িবাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারের চরম অবহেলার কারণে মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংস্কারকাজ বাস্তবায়নের সময় পেরিয়ে গেছে। তাই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে সংস্কারকাজের মালামালও নিয়ে গেছেন। এতে মনে হচ্ছে এ বর্ষা মৌসুমেও মগনামার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সাগরের পানিতে ভাসতে হবে।

পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে কুলসুম বলেন, সামুদ্রিক জোয়ারের নোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় জনজীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষিকাজ এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত এ প্লাবনে অন্তত অর্ধশতাধিক চিংড়ি ঘেরের মাছ সাগরে ভেসে গেছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, মগনামা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ অধিকাংশ সংস্কার করা হয়ে গেছে। ব্লকও তৈরি করা হয়েছে। তবে সামান্য অংশ এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে। এটি দ্রুত সংস্কারে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পেকুয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়