Cvoice24.com


‘কথা রেখেছে ইডিইউ’

প্রকাশিত: ০৯:১২, ৫ জুলাই ২০১৯
‘কথা রেখেছে ইডিইউ’

দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তীকে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান

চট্টগ্রামে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। প্রতিষ্ঠাকালে ইডিইউ কথা দিয়েছিলো, এখানে বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিদের দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে নিয়মিতভাবে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ক্লাস-সেমিনার-কর্মশালা পরিচালনা করছেন ইডিইউতে। চট্টগ্রামবাসীকে দেয়া সে কথা রেখেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার হলে ‘কম্পেয়ারেটিভ কালচারাল স্টাডিজ’ বিষয়ক এ কর্মশালা পরিচালনা করেন বিখ্যাত দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাহিত্য-সংস্কৃতিকে দেখার বা বিচারের একটি জনপ্রিয় ধারা হয়ে উঠেছে কম্পেয়ারেটিভ স্টাডিজ বা তুলনাত্মক পাঠ। ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমে এদেরকে জানা, সংজ্ঞায়িত করার তত্ত্ব এটি। দুটো ভিন্ন অঞ্চলের সাহিত্যের তুলনাত্মক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা ঐ অঞ্চলগুলোর সংস্কৃতি, মানুষের জীবনযাপন, দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারি।
তিনি আরো বলেন, কলোনিয়াল ধারার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে সাহিত্য-সংস্কৃতিকে ডিকলোনাইজ ভঙ্গিতে বিচারের কথা বলে এই তত্ত্ব। তুলনাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচারের ফলে দুটো ভিন্ন সংস্কৃতি বা সাহিত্যের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়। তাই বিশ্বায়নের এ যুগে তত্ত্বটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
সংস্কৃতির পাঠে সাহিত্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম বলে উল্লেখ করেন অমিতাভ। তিনি বলেন, জার্মান সাহিত্যিক গ্যেটে তার এক প্রবন্ধে বলেছিলেন, একটি নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীতে আবদ্ধ না থেকে অন্যান্য ভাষায় কি সৃষ্টি হচ্ছে, সেদিকে তাকাতে হবে। এরপরই সাহিত্যের বিশ্বায়ন শুরু হলো। যার ফলশ্রুতিতে তুলনাত্মক পাঠের প্রয়োজনীয়তাও তৈরি হয়। পরবর্তীতে একাডেমিকভাবে এ বিষয়টির পত্তন ঘটে গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে এসে। এর প্রভাবে সাম্প্রতিক কালে সাহিত্যের সংজ্ঞাও বদলে গেছে।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, জ্ঞানের বিশাল ক্যানভাসে প্রতিনিয়তই নতুন কিছু না কিছু যুক্ত হচ্ছে। সংযোজন-বিয়োজনে পরিবর্তিত হচ্ছে পুরনো চিন্তাধারা। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের এ ধরণের কর্মশালা-সেমিনারের আয়োজন নিয়মিতভাবে করা হয়। যাতে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের জ্ঞানকে চালিত ও আধুনিক রাখতে পারে।
ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাবরিন সরওয়ারের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন ও স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির প্রমুখ।

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়