চট্টগ্রামে বিপিও সামিট উপলক্ষে ইউথ এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৫ জুন ২০১৯
চট্টগ্রামে বিপিও সামিট উপলক্ষে ইউথ এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম

“ট্রান্সফরমিং সার্ভিস টু ডিজিটাল” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিও সামিট উপলক্ষে ইউথ এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর সহযোগিতায় এ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (আইসিটি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিনের সঞ্চালনা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম ফ্রিল্যান্সার এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব মো. নজরুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে দেশের দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থীসহ প্রায় ৩০০ অংশগ্রহণকারী এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।

উপস্থিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্যে বিপিও এর সম্ভাবনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট উঠে আসে। বাংলাদেশের অসংখ্য তরণ-তরুণী এ খাতের সাথে যুক্ত হয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। ভবিষ্যতে এ খাত গার্মেন্টস খাতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

বক্তারা আরও বলেন, বিপিও এখন বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি খাত। বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার কোটি ডলারের বাজার এটি। তবে আমরা এখনও এ খাতে খুব ভালো অবস্থানে আছি এটি বলা যাচ্ছে না। কিন্তু সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের জনবলের ৬৫ শতাংশই তরুণ। বিশাল এই তরুণ সমাজকে বিপিও খাতের জন্য তৈরি করতে হবে। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের তরুণদের কাছে এই বার্তাটিই পৌঁছে দিতে চাই যে- বিপিও খাতে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এ খাতে কাজের জন্য খুব বেশি দক্ষ হওয়ারও প্রয়োজন নেই। ভারত কিংবা তাইওয়ানের মতো দেশে বিপিও খাতে একই কোম্পানিতে হাজার হাজার লোক কাজ করে। ভারত কিংবা তাইওয়ান পারলে আমরা কেন নয়। দেশেও বিপিও খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিশ্বে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে আউটসোর্সিংয়ে। প্রতিবেশী দেশ ভারত এখাতে আয় করছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। এ খাতে বছরে আয় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর সঙ্গে ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং পেশাজীবীরা আরও প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। ফলে বিশ্বের ৫০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। ২০২১ সালে আউটসোর্সিং থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তাতে জিডিপিতে এ খাতের অবদান দাঁড়াবে ৫ শতাংশে।

প্রোগ্রামে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিপিওতে ক্যারিয়ার গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন বিকন আইটি লিমিটেড, ননি সফ্টটেক, প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প, শেখ কামাল আইসিটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় ডট কম, মিডডে ড্রিমস, ইয়াং-বাংলা, সিআরআইসহ বিভিন্ন আইসিটি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারগণ। 

প্রোগ্রামে বক্তারা দেশের প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টারও আহ্বান জানান ।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়