Cvoice24.com


এটি বরকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়!

প্রকাশিত: ১২:১৫, ২৫ জুন ২০১৯
এটি বরকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়!

ছবি সিভয়েস

রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। চেনার উপায় নেই এটি কোন সরকারি দপ্তরের উপজেলা কার্যালয়। জরাজীর্ণ ভবনের দেয়ালে ঝুলানো অস্পষ্ট অক্ষরে লেখা সাইনবোর্ডটি পড়ে জানা যাবে এটি একটি সরকারি দপ্তরের উপজেলা কার্যালয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে একতলা পাকা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মাণের ৫৫ বছর পরেও অফিস ভবনটি মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ভবনটির দেয়ালগুলো ছত্রাকে আক্রান্ত। যার কারণে দেয়ালের রঙ পাল্টে কালো হয়ে গেছে। ভবনের চারপাশে ফাটল ধরেছে। প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তারা। নানা ধরনের ঘাস, গুল্ম ঝোঁপ জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে ভবনের ছাদ।

অফিস ভবনে দাপ্তরিক কর্মকান্ড সম্পদন করার পরিবেশ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খাদ্য বিভাগের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপজেলা খাদ্য বিভাগের দু’জন নৈশ প্রহরী ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাসে দুয়েক বার কর্মস্থলে যান বলে জানা গেছে। বাকি দিনগুলোতে জেলা সদরে বসে দাপ্তরিক কাজ করেন তারা।

খাদ্য বিভাগের জরাজীর্ণ অফিস ঘরের নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মন্টু মনি চাকমা জানান, দীর্ঘ ৫৫ বছর হয়ে গেছে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের পর থেকে এখনো পর্যন্ত মেরামত-সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ। ফলে জরাজীর্ণ অফিস ভবনটি ব্যবহারে অনুপযোগী এবং মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে অফিসে বসে কাজ করা যাচ্ছেনা বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন জানান, বরকল খাদ্য বিভাগের অফিস কক্ষটিসহ জেলার আরো কয়েকটি খাদ্য অফিসের করুন অবস্থার কথা লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় নতুন করে নির্মাণ করা যাচ্ছে না। খাদ্য বিভাগের ভবন এলজিইডি গণপূর্ত বিভাগসহ অন্য কোন সরকারি দপ্তর থেকে নির্মাণ করার কোন সুযোগ নেই। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের পরিদর্শন উন্নয়ন পরীক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের উন্নয়ন কাজ করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় অন্য বিভাগে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য বরাদ্দ আসলে রাঙামাটির উপজেলার জরাজীর্ণ ভবনগুলোর কাজ করা হবে বলে জানান কর্মকর্তা।

-সিভয়েস/এসএ

সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়