Cvoice24.com


১১ লক্ষ রোহিঙ্গার হাতে অবৈধ ২২ লাখ সিমকার্ড !

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২৩ জুন ২০১৯
১১ লক্ষ রোহিঙ্গার হাতে অবৈধ ২২ লাখ সিমকার্ড !

ছবি: সিভয়েস

উখিয়া- টেকনাফে আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গার হাতে অবৈধ ২২ লাখের অধিক সিমকার্ড চালু রয়েছে বলে ধারণা করছেন এ ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি ৭০টি সিমকার্ডসহ পুলিশের হাতে ধৃত রাজাপালং গ্রামের আবুর কাশেম(৩৫) ও কুতুপালং গ্রামের মো. হাসান (২৮) মোবাইল কোম্পানির স্থানীয় এস.আর দাবি করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য  দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

উখিয়া সদর এলাকার মোবাইল ব্যবসায়ী আমিন সার্ভিস পয়েন্টের স্বত্বাধিকারী মো. আমিন জানান, অভিনব কায়দায় স্থানীয়দের মাধ্যমে নিবন্ধিত সিমকার্ড রোহিঙ্গাদের চড়া দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন কোম্পানির এস.আর নামধারী একাধিক জালিয়াত চক্র। 
তিনি বলেন উখিয়া টেকনাফে ১১ লাখ রোহিঙ্গার হাতে কমপক্ষে ২২ লাখের অধিক মোবাইলে অবৈধ সিমকার্ড ব্যবহৃরিত হচ্ছে। বায়োমেট্টিক নিবন্ধন ছাড়া এত সিম কার্ড রোহিঙ্গার হাতে কিভাবে গেল এ প্রশ্নের সঠিক জবাব কারো কাছে জানা নেই। 

কুতুপালং গ্রামের স্থানীয় চাকরিজীবী দুলাল বড়ুয়া(২৫) ও রিপন বড়ুয়া (২২), অভিযোগ করে জানান, স্থানীয়দের ব্যবহৃত মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকলেও রোহিঙ্গাদের মোবাইলে ২৪ ঘন্টা নেটওয়ার্ক থাকে। তারা ক্যাম্প থেকে সরাসরি রাখাইনে বসবাসরত স্বজনদের সাথেও কথা বলে। 

তারা বলেন, স্থানীয়দের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহারের মাধ্যমে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা ভয়ংকর অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে। প্রতিনিয়ত কোন না কোন অপ্রীতিকর ঘটনায় স্থানীয়রা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। তারা বলেন, একমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা যতই অপকর্ম করুক না কেন তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নজরে আনা কঠিন। কারণ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর ব্যবহৃত মোবাইল সিম স্থানীয় যেকোন এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত। 

উখিয়া থানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম জানান, এস.আর নামধারী এক শ্রেণির প্রতারক সহজ সরল স্থানীয়দের ফিংগার প্রিন্ট ও আইডি কার্ড ব্যবহার করে ওপেন সিম কার্ড চড়া দামে রোহিঙ্গাদের বিক্রি করার কথা স্বীকার করছে। তারা আরও বলেছে, তাদের মত অসংখ্য এসআর ওপেন সিম কার্ড ক্যাম্পে অবস্থান করে রোহিঙ্গাদের বিক্রি করছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা করে গত ২০ জুলাই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের হাতে অবৈধ সিমকার্ডের ব্যাপারে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়েছে এবং এ নিয়ে করণীয় কি সুনির্দিষ্ট নির্দেশাবলী চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের  নির্দেশমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ অবৈধ সিমকার্ড উদ্ধার এবং সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।      

সিভয়েস/আই

আবদুল্লাহ আল আজিজ, উখিয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়