‘২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবে সরকার’

এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দপ্তর এবং জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবে সরকার। কর্মসংস্থান না হলে কোন উন্নয়ন টেকসই হবে না। বেকারদের প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবে সরকার। দারিদ্রের হার ১০ শতাংশ এবং চরম দারিদ্রের হার ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। আবাদযোগ্য জমির হার ৫৫ শতাংশ বজায় রাখতে হবে। উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষায় পাশের হার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। জিডিপি’র বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ঊর্ধ্বে উন্নীত করা জরুরি।

সোমবার (১৭ জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সমূহ (এসডিজি’স) বাস্তবায়ন ও সমন্বয় সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফসহ এসডিজি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

এতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ ২০৩০ অর্জন নিশ্চিতকল্পে বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি করে জেলা প্রশাসক, বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি ২ জন করে পুরুষ ও ২ জন মহিলা (সভাপতি কর্তৃক মনোনীত) এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রান্তিক ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীরা কমিটিতে থাকবেন। কমিটির সদস্য সচিব হবেন সমাজসেবা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক।

সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত বৈশ্বায়িক লক্ষ (এসডিজি), ১৭টি এবং অভিষ্ট লক্ষ্য ১৬৯টি। যা বাস্তবায়ন কাল ২০১৫-২০৩০ সাল নাগাদ নির্ধারণ করেছেন সরকার। সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল ও উপযুক্ত কাজের সুবিধা নিশ্চিত করা, সর্বস্তরে কার্যকর জবাবদিহিমূলক অংশীদারিত্ব ও উন্নয়ন হতে হবে।

-সিভয়েস/এমআইএম/এসএ