Cvoice24.com


অবৈধ ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে : সিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১৭ জুন ২০১৯
অবৈধ ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে : সিএমপি কমিশনার

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুবর রহমান বলেছেন, ‌‘নগরীর বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটর রিক্সা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আমরা যত অভিযান চালাচ্ছি তারপরেও এর ভয়াবহতা কমছে না। আপনারা মনসুরাবাদ আমাদের ডিপোতে গিয়ে দেখতে পারেন কত গাড়ি আমরা জব্দ করে রেখেছি। ওখানে নতুন করে জব্দ রিক্সা রাখার মত আর কোন জায়গা নেই যার কারণে আর জব্দ করে রাখতেও পারছিনা’। 

তিনি পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতি উত্তরে এসব কথা বলেন।

মৃণাল চৌধুরীর বক্তব্য ছিলো- চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোন পার্কিং স্পট নেই। যেসব গাড়ি রাস্তায় দাড় করায় প্রত্যেকটি গাড়ির টাকা যায় ট্রাফিক পুলিশের পকেটে। আর অবৈধ রিক্সার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে কোন রিক্সা সড়কে চলতে পারতো না। তারা যদি ঠিকভাবে ডিউটি করে তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

সোমবার (১৭ জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ করে দেয়ার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের এতে সিএমপি'র কোন হাত নেই। তারপরেও যত্রতত্র ও অবৈধ পার্কিং এবং উল্টোপথে গাড়ি চালানোর দায়ে সরকারকে প্রতিমাসে এক কোটি টাকার মত রাজস্ব দিই। যদি পুলিশ হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতো তাহলে সরকারকে এত টাকার রাজস্ব আয় করে দিতে পারতো না।

ব্যাটারি রিক্সার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদেরকে যদি পর্যাপ্ত জায়গা দেয়া হয় আমরা সেখানে রিক্সাগুলো ড্যাম্পিং করতে পারতাম। তবে এ বিষয়ে একটি নীতিমালায় আনতে পারলে ভাল হতো। আবার মোটর রিক্সার পার্টসগুলো যদি আমদানি বন্ধ করা যেতো তাহলে এটার ভয়াবহতা রোধ সম্ভব হতো।

বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যাটারি চালিত এ রিক্সাগুলোর কারণে অনেকেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অনেক সময় দেখি কিছু ১৫-১৬ বছরের কিশোররা এ রিক্সাগুলো চালাচ্ছে। কিন্তু বয়োবৃদ্ধ অনেকেই প্যাডেল রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। যা খুবই দুঃখজনক। এ পদ্ধতিটি হঠাৎ করে বন্ধ করা যাবেনা। তবে একটি সিদ্ধান্তে নিয়ে আসলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

এসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়েজুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামী এবং চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা প্রশাসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সিভয়েস/এমআইএম/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়