Cvoice24.com


অবশেষে উন্মুক্ত হল পানবাজার সড়ক, ফিরেছে স্বস্তি

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ১২ জুন ২০১৯
অবশেষে উন্মুক্ত হল পানবাজার সড়ক, ফিরেছে স্বস্তি

ছবি সিভয়েস

কক্সবাজার শহরের ভোলাবাবুর পেট্টোল পাম্পের বিপরীতের ব্যস্ততম পানবাজার সড়কটি যানজট নিরসনে জন্য দীর্ঘ মাস ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল। অবশেষে সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দীর্ঘদিন ভোগান্তির শিকার ১০টি মার্কেটের অন্তত হাজারো ব্যবসায়ীর মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি।

সড়কটি বন্ধ থাকায় গেল ঈদে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয়েছে বড় ধরণের লোকসান। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, যানজট নিরসনের নামে এই উপ-সড়কটি দীর্ঘদিন বন্ধ রাখাটা ছিল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। মূলত কিছু দখলবাজ আর দালাল চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই রাস্তা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করেছিল। যাতে করে চালু মার্কেটগুলো অচল হয়ে পড়ে। আর রাস্তা বন্ধ থাকায় দখলবাজরা মার্কেটের সামনেই টাকার বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছিল। ফলে ঈদের মৌসুমেও ব্যবসা করতে পারেনি ওই সড়কের মূল ব্যবসায়ীরা। নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সড়ক বন্ধের বিষয়ে নিন্দার ঝড় উঠে।

অবশেষে বুধবার (১২ জুন) দুপুরে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র বর্তমান নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে উন্মোক্ত করা হয় পানবাজার সড়কটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পৌরসভার আর্বজনা অপসারণের গাড়ি নিয়ে প্রথমে পরিষ্কার করা হয় দীর্ঘ দিন বন্ধ থেকে আর্বজনায় ভয়ে যাওয়া পানবাজার সড়কটি। পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হয় প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে বসানো ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো। আর সরিয়ে ফেলা হয় সড়ক বন্ধ রাখার অস্থায়ী দেওয়াল। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পানবাজার সড়কে অবস্থিত ফিরোজা মার্কেট, বাটা মার্কেট, এআর মার্কেট, হেফাজত মার্কেট, আলমাস মার্কেট হাসেম টাওয়ার সহ অন্তত্য ১০টি মার্কেটের ব্যবসায়ী মহল।

ব্যবসায়ীরা বলেন, অনেক লোকসানের পরে দেরিতে হলেও সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়ায় ভাল লাগছে। আবার হয়তো ভালভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবো।

মোহাম্মদ রায়হান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদে ভাল ব্যবসা হত। কিন্তু এই বছর সড়কটি বন্ধ থাকায় ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে। খুব বেশি আশাবাদি ছিলাম হয়তো ঈদের আগে সড়কটি খুলে করে দেওয়া হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। অবশেষে ঈদের পরে করা হল। এতেও সন্তুষ্ট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই উপসড়কটি বন্ধ রেখে শহরের যানজট কোন অংশে কমেছে বলে মনে হচ্ছে না। বরাবরই রোজায় সময়, ঈদের আগে পরে ঠিকই যানজট ছিল। এছাড়া এই ধরণের উপ সড়ক আরো থাকার পরেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুধুমাত্র এই সড়কটি দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়েছে। দেরিতে হলেও সড়কটি খুলে দেওয়ার আর সুবিধা করতে পারছে না দখলবাজ আর দালাল চক্র।

ব্যাপারে কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, জনদূর্ভোগ লাগব এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই বন্ধ সড়কটি লোকজন আর্বজনার স্তুপ বানিয়ে রেখেছিল। এছাড়া দখলবাজরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তাই সবদিক বিবেচনা করে জনকল্যাণে সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান জানান, মূলত যানজট নিরসনের জন্য সড়কটি বন্ধ করা হয়েছিল। আবার পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের পরে সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

-সিভয়েস/এসএ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়