Cvoice24.com

ম্যাজিস্ট্রেটের উদ্যোগকে জনতার স্বাগত
নগরীতে বিআরটিএ'র অভিযান, অতিরিক্ত ভাড়া ফিরে পেলেন যাত্রীরা

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ৩০ মে ২০১৯
নগরীতে বিআরটিএ'র অভিযান, অতিরিক্ত ভাড়া ফিরে পেলেন যাত্রীরা

নগরীর অলংকার, বিআরটিসি, গরীব উল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় শ্যামলী, ইউনিকসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া পরিবহনগুলো থেকে টাকা আদায় করে যাত্রীদের হাতে তুলে দেন বিআরটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর দুইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন।

ক'দিন আগে তিনি বিআরটিএ'র ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের নিজস্ব ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ঈদে দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া বিষয়ক তথ্য আহবান করেছিলেন। অর্থাৎ ঈদ উপলক্ষে কোন পরিবহন  যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকলে সেই বাসের নাম, গন্তব্য, আদায়কৃত অতিরিক্ত ভাড়ার পরিমাণ, যাত্রীর মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য প্রদানের আহবান জানান।

তখন ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ যাত্রীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,  তাঁরা বাড়তি ভাড়া নেওয়া পরিবহনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সম্ভব হলে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া সংশ্লিষ্ট পরিবহনগুলোর কাছ থেকে আদায় যাত্রীদের ফিরিয়ে দেবেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের এ আহবানে সাড়া দিয়ে অনেক যাত্রী বর্ণিত ফেসবুক পেজে তাদের তথ্য প্রদান করেন। তাতে দেখা যায় কম পরিচিত পরিবহনগুলোর পাশাপাশি অনেক স্বনামধন্য পরিবহনও ঈদ উপলক্ষে দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এসি এবং নন-এসি দু’ধরনের বাসেই অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ম্যাজিস্ট্রেট বাস কাউন্টারসমূহে অভিযান পরিচালনা করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের অভিযোগ দেয়া পরিবহনগুলোর মধ্যে সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, দেশ ট্রাভেলস, বিশাল পরিবহন, জি এস ট্রাভেলস, রয়েল পরিবহন, দিদার পরিবহনসহ অন্যন্য পরিবহনও রয়েছে। 

পরবর্তীতে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউনিক পরিবহনকে ২০ হাজার, সৌদিয়া পরিবহনের দুই কাউন্টারকে যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ২০ হাজার, দেশ ট্রাভেলসকে ২৫ হাজার এবং বিশাল পরিবহনকে ৬ হাজারসহ মোট ১ লক্ষ ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এ অভিযানের সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো অভিযুক্ত পরিবহনের কাছ থেকে তাদের নেওয়া বাড়তি ভাড়া আদায় করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক যাত্রীদের হাতে তুলে দেন। 

ম্যাজিস্ট্রেটের এ অভিনব উদ্যোগকে যাত্রীরা স্বাগত জানান এবং তাদের ঈদের খুশি অনেকগুণ বেড়ে যায়। 

জিসান মাহমুদ নামে এক যাত্রী সিভয়েসকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট এভাবে টাকা তুলে দিবে আমরা ভাবতেও পারিনি, এরকম আজ পর্যন্ত কখনো দেখেনি। 

শওকত নামে আরেক যাত্রী বলেন, প্রশাসনের কোন কর্তা আজ পর্যন্ত কখনো যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত বাড়া তাদের কাছ থেকে অভিযোগ নিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে শুনিনি।

বয়োবৃদ্ধ মমতাজ মিয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "বাবা, তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দিবো ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। আল্লাহ তোমাকে আরও বড় করুক এ কামনা করি"

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক সিভয়েসকে বলেন, আজকের এ কাজটি করে আমার খুব ভালো লাগছে। এতদিন আমরা যে অভিযানগুলো করেছি তা স্বার্থক বলে মনে হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে অভিযান চালিয়ে যাবো বলে জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

সিভয়েস/এমআইএম/এএস

মনিরুল ইসলাম মুন্না

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়