Cvoice24.com


পিছিয়ে গেল ছাত্রলীগ নেতা মর্তুজা হত্যা মামলার রায়

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২৮ মে ২০১৯
পিছিয়ে গেল ছাত্রলীগ নেতা মর্তুজা হত্যা মামলার রায়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা হত্যা মামলার রায়ের দিন পিছিয়ে গেল। ১৮ বছর পর আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজন এবং দলীয় নেতাকর্মীরা। ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিজ বাড়ি হাটহাজারীর ছড়ারকুলে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয় আলী মর্তুজাকে। আদালত আগামী ২০ জুন রায়ের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি শিবির ক্যাডার হাবিব খান ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে দুই আসামি। বিভিন্ন সময় নিহত হয়েছেন তিনজন। অন্য দুজন কারাগারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাঞ্চল্যকর আলী মর্তুজা হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৮ মে) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন। আদালত মামলাটির রায় পুণরায় নির্ধারণ করেন আগামী ২০ জুন। আমরা আশা করছি সেদিন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।

এই মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল সিভয়েসকে বলেন, ছাত্রনেতা আলী মর্তুজা হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষে চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিলো। হঠাৎ করে আদালত রায়ের নতুন তারিখ ঘোষণা করে।

মামলার বাদী নিহত আলী মর্তুজার বড় ভাই আলী নাসের চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৮টি বছর ভাই হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে আমরা দিন কাটাচ্ছি। আজ সেই ঘৃণ্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে রায়ের দিন পরিবর্তন হওয়ায় আমরা হতাশ। তবুও আমরা এটুকুই আশা করছি সব আসামিকে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদণ্ড দেবেন।

আসামিরা কে কোথায়?
আসামিদের মধ্যে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে শিবির ক্যাডার হাবিব খান। জামিনে গিয়ে পলাতক মো. হাসান ও মো. ইসমাইল। র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে সন্ত্রাসী গিট্টু নাসির, গণপিটুনিতে নিহত হন আইয়ুব আলী ওরফে রাশেদ এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সাইফুল ইসলাম। শিবির ক্যাডার তছলিম উদ্দিন ওরফে মন্টু ও মো. আলমগীর ওরফে বাইট্টা আলমগীর কারাগারে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আলী মর্তুজা হত্যার পরদিন ৩০ ডিসেম্বর আটজনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন তার বড় ভাই ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী নাসের চৌধুরী। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৪ সালে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এতে আটজনকেই অভিযুক্ত করা হয়।

সিভয়েস/এনএইচ/এএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়