Cvoice24.com


ফটিকছড়িতে জমজমাট কাঁঠালবাজার

প্রকাশিত: ১০:১৮, ২৭ মে ২০১৯
ফটিকছড়িতে জমজমাট কাঁঠালবাজার

ছবি: সিভয়েস

ফটিকছড়িতে  জমে উঠেছে কাঁঠালের বাজার। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে উত্তর ফটিকছড়ির হাটবাজারগুলোতে। এ উপজেলার কাঁঠাল যাচ্ছে সারা দেশে। আর এ কাঁঠাল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে নজির স্থাপন করেছেন অনেকে। এদিকে উপজেলায় কাঁঠালের ভাল ফলন হয়েছে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য কাঁঠাল। খুশি চাষিরাও।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় ফটিকছড়িতে এবার  ১ হাজার ২ শত ৬০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে।সর্বত্রই ভাল ফলন হয়েছে। 
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে কাঁঠাল ভাল ফলে। তাই এলাকার লোকেরা বাগান করা ছাড়াও বসত ভিটায় কাঁঠাল গাছ রোপণ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে। 

কৃষি অফিস সহকারী সুমন চন্দ্র পাল জানান, উপজেলার বাগানবাজার. দাঁতমারা এলাকায় কাঁঠালের চাষ বেশি হয়। 
ইতিমধ্যে উত্তর ফটিকড়ির হাটবাজারগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবায়ীদের সমাগমে সরব হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁঠাল সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায় উত্তর ফটিকড়ির কাজিরহাট, মির্জা হাট,ফকিরহাট, নারায়নহাট, শান্তিরহাট, দাঁতমারাবাজার, চিকনছড়া বাজার, কয়লা বাগান বাজার, বালুটিলা ও হেয়াকো বাজারে কাঁঠাল আর কাঁঠাল। বিশেষ করে হেয়াকো বাজার হচ্ছেই কাঁঠালের অন্যতম প্রধান বাজার ।অন্যান্য বাজারের চেয়ে এ বাজারে যাতায়াত সুবিধা ভাল তাই এ বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সমাগম বেশি ।কাঁঠালও বিক্রি হয় ভালো। 

চট্টগ্রাম শহর, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে কাঠাল ক্রয় করে নিয়ে যায়। 
ফেনী থেকে আসা ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, প্রতিবছরই ফটিকছড়ি থেকে কাঁঠাল ক্রয় করতে আসি। দামে ভাল এবং প্রচুর  কাঁঠাল পাওয়া যায় বিধায় এখানে আসি। নোয়াখালী থেকে আসা ব্যবসায়ী হোসেন বলেন, ফটিকছড়ির কাঁঠালের আলাদা খ্যাতি রয়েছে । ফটিকছড়ির কাঁঠাল বললে ভাল বিক্রি হয়। 

স্থানীয়  ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন সর্দার বলেন, হেয়াকো বাজার থেকে কাঁঠাল ক্রয় করে পাশের জেলা ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন  স্থানে কাঠাঁল বিক্রি করে  প্রতি মৌসুমে প্রায় দুই লক্ষ টাকা আয় করে থাকি। 
হেঁয়াকো এলাকার সিকদারখীল গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর নবী মেম্বার বলেন, পাঁচ কানির মত জমিতে কাঁঠাল চাষ করেছি। আশা করছি, এ মৌসুমে প্রায় এক লক্ষ টাকার কাঁঠাল বিক্রি হবে। 
কাঁঠাল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া  চাষী সাহাব উদ্দিন, জব্বার মিয়া, কালাম, বাদশাহ, সুরত মিয়া ও আজগর বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কাঁঠাল উৎপাদনে খরচ কম। কাঁঠাল চাষ লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের প্রায় চাষি এখন কাঁঠাল চাষের প্রতি ঝুঁকছে। কাঁঠাল চাষ করে আমরা অনেকেই নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছি। প্রতিবছর কাঁঠাল চাষ করে যে আয় হয় তা দিয়ে আমাদের সারা বছর চলে।

উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা লিটন দেব নাথ বলেন, ফটিকছড়ির মাটিতে মৌসুমী ফলমূল ভাল ফলে। বিশেষ করে কাঁঠাল চাষে  এ মাটি অত্যন্ত উপযোগী। কাঁঠালের ভাল ফলন হয়েছে। এ মাটিতে কাঁঠালের ফলন ভালো হয় বিধায় চাষিদের আমরা যথাযথ পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে থাকি। সফল চাষিদের দেখাদেখি বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষে এখন অনেকে এগিয়ে আসছেন।

সিভয়েস/আই

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়