Cvoice24.com


নগরীতে ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে প্রদর্শিত হয় তামাক

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৬ মে ২০১৯
নগরীতে ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে প্রদর্শিত হয় তামাক

ক্রস সেকশনাল পর্যবেক্ষণ নামে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে ৯০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শন হয়।

এক্ষেত্রে, প্রতিটি স্কুল প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে গড়ে ছয়টি তামাক পণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৭৭ শতাংশ তামাক বিক্রয় কেন্দ্র শিশুদের চক্ষু সমান্তরালে (আনুমানিক ১ মিটার) ও ৩৩ শতাংশ চকলেট, মিষ্টি বা খেলনার পাশে প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

এর কারণে শিশুরা তামাকজাত পণ্যের প্রতি আগ্রহী ও ধূমপায়ী হয়ে উঠছে বলেও আশঙ্কা করেন গবেষকরা।

রোববার (২৬ মে) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) উদ্যোগে ‘বিগ টোব্যাকো টার্গেট’ শীর্ষক গবেষণায় এমন তথ্যে উঠে আসে। ক্যাম্পেইন ফর ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) সংবাদ সম্মেলনে সহযোগিতা করেন।

২০১৭ সালের ৩ থেকে ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলার ৪০টি নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ওপর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাঝে চট্টগ্রাম ২০, কক্সবাজার ১৯ ও রাঙামাটির ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইপসার উপপরিচালক নাছিম বানু ক্রস সেকশনাল পর্যবেক্ষণের সামগ্রিক এই চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি জানান, স্কুল, কলেজ ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে ৯৬ শতাংশ তামাক পণ্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। ৮৪ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের স্টিকার, ডেমোপ্যাকেট, ফেস্টুন, ফ্লায়ার প্রদর্শন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ বিজ্ঞাপন পোস্টার, ১ শতাংশ ছাতায় ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে অপর এক শতাংশের বিজ্ঞাপন করা হয়েছে।

বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু কৌশলের কথা তুলে ধরেন নাছিম বানু। তিনি জানান, ৯৮ শতাংশ তামাক বিক্রয় কেন্দ্রে একক শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়। এর পাশাপাশি বিক্রি বৃদ্ধিতে ৫ শতাংশ প্রণোদনামূলক কার্যক্রম, ৩৮ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে বিভিন্ন উপহার ও ৬৩ শতাংশ বিক্রয়কেন্দ্রে তামাক পণ্যের ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্যছাড় দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনের মাত্রা বেশি বলেও জানান তিনি।

এক্ষেত্রে গবেষক দল স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের সংশোধন দাবি তোলেন। এছাড়া শিশুদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু একক শলাকা সিগারেট নিষিদ্ধ, তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনা, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের সুপারিশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিএফের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ইফসার চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক ওমর শাহেদ হিরু, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, সাংবাদিক আলমগীর সবুজ উপস্থিত ছিলেন।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়