Cvoice24.com


মানবতার অগ্রযাত্রায় কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণ'

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ২১ মে ২০১৯
মানবতার অগ্রযাত্রায় কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণ'

মানবতার অগ্রযাত্রায় কাজ করছে মিরসরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণ। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ জোরারগঞ্জের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। সময়ের সাথে সাথে সদস্য বাড়ার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও বৃদ্ধি পায় সংগঠনটির। বর্তমানে সংগঠটিতে ৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।

গরীব দুস্থদের নিয়ে ঈদ উৎসব, শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, সামর্থহীন পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে আর্থিক সহায়তার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হয় সংগঠনটির সদস্যদের আর্থিক অনুদানে। এছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান, ব্লাড গ্রুপিং, বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি, স্কুল শিক্ষার্থীদের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মুখী করা, সচেতনতামূলক সেমিনার, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম।

জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হাসান হৃদয় বলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বান'র কর্যক্রম সত্যি প্রশংসনীয়। তারা এলাকার হতদরিদ্র আমজনতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। 

সংগঠন অনির্বাণের কার্যকরি পরিষদ ২০১৮-১৯ এর প্রধান উপদেষ্টা মো. ইসমাঈল মোল্লা এবং সভাপতি ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী  নূর-এ জাহেদ (রাহেন)৷ এছাড়াও বিভিন্ন পদে রয়েছেন অধ্যয়নরত ৪৬ জন শিক্ষার্থী।

৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনির্বাণের সভাপতি  নূর-এ জাহেদ (রাহেন) জানান, অনির্বাণ সূচনা লগ্ন থেকে মানব সেবায় নিয়োজিত। আমরা চলতি বছরে কুঁড়িগ্রাম অঞ্চলের এতিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঞ্জাবি পায়জামা ও কার্পেট দিয়েছি। মিরসরাই উপজেলার স্কুল কলেজের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপকরনের দায়িত্বও নিয়েছি।

মিরসরাইয়ের উন্নয়নের লক্ষে কাজ করা, মানুষের মাধ্যমে মানুষের সেবা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের প্রধান লক্ষ উদ্দেশ্য।

টেক্সটাইল  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন অনির্বাণ প্রধান উপদেষ্টা মো. ইসমাঈল মোল্লা জানান, অনির্বাণ সেচ্ছাসেবী একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা মানবতার পক্ষে কাজ করে। প্রত্যেক মানুষকেই সুশিক্ষা অর্জন করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা আর সুশিক্ষা এক নয়, উন্নত সমাজ গড়তে সুশিক্ষার বিকল্প নেই। অন্যের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। পর উপকারে প্রকৃত সুখ খুজে পাওয়া যায়। উৎসর্গ মুখী চিন্তা ভাবনা এবং কাজ করার মাধ্যমে কৃতিত্ব অর্জন করা সম্ভব।

সিভয়েস/এএস
 

ফিরোজ মাহমুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়