Cvoice24.com


লাকী প্লাজায় ক্রেতার আনাগোনা থাকলেও বেচাকেনায় ভাটা

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১৭ মে ২০১৯
লাকী প্লাজায় ক্রেতার আনাগোনা থাকলেও বেচাকেনায় ভাটা

ছবি আজীম অনন

দোকানে ক্রেতার সমাগম থাকলেও খুব একটা বিক্রি নেই। সবাই ঘুরে ঘুরে পোশাক দেখছেন আর দাম যাচাই করছেন। অনেকের ডিজাইন পছন্দ হলেও কালার পছন্দ নয়। আবার কালার ডিজাইন সব পছন্দ হলেও দরদামে মিলছে না। এভাবেই দেখা দেখিতে সময় পাড়। তাতে বিক্রয়কর্মীরা এতটুকু বিরক্ত নন। হাসিমুখে একের পর এক পোশাক দেখিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতাদের। চেষ্টা করছেন ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জনের। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকালে প্রায় একঘন্টা ঘুরে নগরীর লাকী প্লাজায় এমন চিত্রই দেখা গেছে।

লাকী প্লাজার দ্বিতীয় তলার হক'স ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী এরশাদ জানালেন, এটা আসলে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। রমজানের এই সময়টা ঈদের কেনাকাটা খুব জমে উঠে না। এই সময়ে ক্রেতারা মার্কেট ঘুরে দেখেন, পণ্যের মান, দাম ও কালেকশন দেখেন। মূল কেনাকাটা শুরু হয় ১৫ রমজানের পর।

তবে ব্যতিক্রমও যে নেই তা কিন্তু নয়। যেমন এই দোকান থেকেই ঈদের জন্য ২হাজার ৩০০ টাকায় একটি গাউন কিনেন রূপালী। সিভয়েসকে তিনি জানান, শেষের দিকে অনেক সময় ভাল মানের জামা পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দাম বেড়ে যায়। এজন্য তিনি একটু আগে আগেই ঈদের শপিং সেরে নিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান তানজিলা জানান, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন এবার। এজন্য একটু আগে থেকেই ঈদের শপিং করে নিচ্ছেন। পরিবারের বাচ্চা ও মহিলাদের জন্য কেনাকাটা শেষ। এখন শুধু বাবা ও ভাইয়ের কেনাকাটা বাকি।

অন্যদিকে, বাচ্চাদের জামাকাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের আমেজ ভালভাবেই আঁচ পাওয়া গেল শিশুদের কর্ণারে। কেনাকাটা বেশ ভালোই জমে উঠেছে এসব দোকানগুলোতে।

লাকী প্লাজার বেশ কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মার্কেটে ঈদের আমেজ শুরু হলেও বিক্রয় বাড়েনি এখনো। যা বেচাকেনা হচ্ছে তার বেশিরভাগ শিশুদের জামা কাপড়। মেয়েদের জামা কাপড় কিছু কিছু বিক্রি হলেও পুরুষদের উপস্থিতি একেবারেই নেই। তবে ১৫ রমজানের পর এই অবস্থা আর থাকবে না বলেও জানান তারা। পাশাপাশি এটাও জানান, অন্যান্য বছরের এই সময়টাতে যে পরিমান বিক্রি জমে উঠে এবার ঈদ বাজার সে তুলনায় কিছুটা ভাটা।

কটন পার্কের বিক্রয়কর্মী জুয়েল জানান, তাদের তিনটি আলাদা দোকান রয়েছে এই মার্কেটে। এই দোকানে ছেলেদের জামা কাপড় বিক্রি হয়। অন্য দুটি দোকানে শিশু ও মহিলাদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে৷ ওই দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও এই দোকানে ক্রেতা একেবারেই নেই। তবে তারাবী শেষ হয়ে গেলে এই অবস্থা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

এবারের ঈদে পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে, শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা দামে। আর প্যান্টের দাম পড়ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে, মেয়েদের ক্ষেত্রে এবারের ঈদে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গাবারা, আভায়া ও গাউন। পাশাপাশি টপস থ্রিপিস, টিস্যু ফেব্রিক্স ও লেহেঙ্গাও রয়েছে। মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পোষাক কিনার সুবিধা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের রুচিশীল মধ্যবিত্তদের আস্থার বিরাট এক জায়গা জুড়ে অবস্থান লাকী প্লাজার৷

-সিভয়েস/এআরটি/এসএ

আবু রায়হান তানিন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়