Cvoice24.com


বর্হিনোঙরে জাহাজ জট; এজেন্টদের ক্ষতি দৈনিক ২ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১৬:০১, ১৩ মে ২০১৯
বর্হিনোঙরে জাহাজ জট; এজেন্টদের ক্ষতি দৈনিক ২ কোটি টাকা

জাহাজ জটের কবলে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। সম্প্রতি বাংলাদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাব আর পন্য খালাসে ধীরগতির কারণেই এই জটের সৃষ্টি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে গেলো ৫ মে দুপুর থেকে ৭মে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৮ ঘন্টা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এবার কোন জাহাজকেই জেটিতে থাকার অনুমতি দেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাঠিয়ে দেয়া হয় বর্হিনোঙরে। এরপর বন্দর সচল হলেও বর্হিনোঙরে সৃষ্টি হয় জাহাজ জট।

তার উপর বিগত চারদিন ধরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে নিযুক্ত শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে পণ্য পরিবহনে ধীরগতি চলে আসে। আর এসব কারণে লোকসান গুণতে হচ্ছে শিপিং এজেন্টদের।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউল কাদের সিভয়েস‘কে জানান, সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাব ও গত চারদিনে পণ্য পরিবহনে কিছুটা ধীরগতির কারণে বর্হিনোঙরে জাহাজ জট সৃষ্টি হয়েছে। আজকের (১৩ মে) হিসাব অনুযায়ী বর্হিনোঙরে ২৬ টি জাহাজ অপেক্ষমান আছে জেটিতে প্রবেশের জন্য।

কিন্তু দৈনিক গড়ে এনসিটি ও সিসিটি বার্থ সহ মোট সাতটি বার্থে ৬ থেকে ৭টি জাহাজ প্রবেশ করতে পারে। ফলে বর্হিনোঙরে থাকা জাহাজগুলোর ওয়েটিং চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন একটি জাহাজ সচল রাখতে গেলে আট থেকে দশ হাজার ডলার খরচ হচ্ছে। যা টাকার অংকে প্রায় ৮ লাখ। এমন ২৬ টি জাহাজ সচল রাখতে দৈনিক লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় দুই কোটি আট লাখ টাকা।

এর উপর গত চার দিন ধরে অভ্যন্তরীন শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পণ্য পরিবহনে কিছুটা ধীরগতি ছিলো। ফলে প্রতি শিফটে যেখানে তিন‘শ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয় সেখানে গেলো চার দিনে গড়ে দেড়শো‘র মতো কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এসব কারণেই আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সিভয়েস‘কে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে বন্দরের কার্যক্রম ৪৮ ঘন্টা বন্ধ থাকায় এই জট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে করে অচিরেই এই জট কাটিয়ে উঠা যায়। আশা করছি মাসখানেকের মধ্যেই এই জট নিরসন হবে।

সিভয়েস/এএস

হিমাদ্রী রাহা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়