Cvoice24.com


অস্ত্র মামলায় পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ২১ বছরের জেল

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ৯ মে ২০১৯
অস্ত্র মামলায় পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ২১ বছরের জেল

অস্ত্র মামলায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছরের জেল দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত জাহাঙ্গীর আলমকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় একটিতে ১৪ বছর ও অন্যটিতে ৭ বছরের জেল দেয় আদালত।

জাহাঙ্গীর পেকুয়া উপজেলা যুবলীগেরও সভাপতি। এছাড়া তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ এ রায় দেন বলে জানান কক্সবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মমতাজ আহমদ।

রায় ঘোষণার সময় জাহাঙ্গীরসহ মামলার অন্যসব আসামি ( ৩ ভাই ) আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।

মামলার রায়ের বিবরণীর বরাত দিয়ে পিপি মমতাজ বলেন, গত ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের একটি দল ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ টি গুলি ও নগদ ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এসময় বাড়ীতে অবস্থানকারী জাহাঙ্গীর ও অপর ৩ ভাইকে আটক র‌্যাব সদস্যরা। এ ঘটনায় র‌্যাব পেকুয়ায় থানায় আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে দীর্ঘ ২১ মাস বিচারকার্য চলে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম এ রায় প্রদান করেন। বিচারিক হাকিম মামলার প্রধান আসামি ও পেকুয়া উপজেলার সদ্য শপথ গ্রহণকারী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পিপি মমতাজ বলেন, তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর মামলার শুরু থেকে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে আসছিলেন। তার (জাহাঙ্গীর) দাবি, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে র‌্যাব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র উদ্ধারের এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। 

কিন্তু আসামিদের দাবির স্বপক্ষে যথাযথ যুক্তিসহ প্রমাণাদি আদালত উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে বিচারিক হাকিম এ রায় দিয়েছেন বলে মন্তব্য রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবীর।

সিভয়েস/এএস

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়