Cvoice24.com


যে কারণে কমেছে জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা

প্রকাশিত: ১২:৪১, ৬ মে ২০১৯
যে কারণে কমেছে জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৯৪ জন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের প্রত্যাশা ছিল এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়বে। গত বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই প্রত্যাশাটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। এবার চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন। যা গতবারের তুলনায় কম ৭ শত ১জন।

২০১৮ সালের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এবার ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে 
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে। মহানগরের স্কুলগুলোতে সাধারণত প্রতিবছর পাসের হার বাড়তি থাকে। এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মহানগরের স্কুলগুলোতে প্রায় এক শতাংশ কমেছে পাসের হার।

জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলা, গণিত, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এবং বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা এ-প্লাস না পাওয়ার প্রভাবে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা গতবারের চেয়ে ৭০১ জন কম হয়েছে। এটার কারণ আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’ তবে সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ফল ভালো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, এবার শতভাগ পাস এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০। গতবার এ সংখ্যা ছিল ২৭। গত বারের মতো এবারও পাসের হার শূণ্য এমন কোন বিদ্যালয় নেই।

কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, অনেক স্কুলেই ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের শিক্ষক নেই। বাংলা, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়গুলোর সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে শিক্ষকরাও খুব ভালোভাবে পড়াতে পারছেন না। 

এ অভিযোগগুলোর সাথে একমত পোষণ করেন অভিভাবকরাও। তারা বলেন, সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর শিক্ষকদের এ শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করায় সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করা অনেক শিক্ষকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক ফলাফলের উপর।

সিভয়েস/এএস

মিনহাজ মুহি 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়