Cvoice24.com


পেকুয়ায় চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে মাছ লুট

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ২০ এপ্রিল ২০১৯
পেকুয়ায় চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে মাছ লুট

ছবি সিভয়েস

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাঁধ কেটে একটি চিংড়ি ঘেরে ১০লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলহাচুরা এলাকায় ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

উত্তেজনার কারণে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ ফের খুনখারাবির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৪০বছর ধরে চিংড়ি ঘেরটি ভোগদখল করে আসছে একই এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিন গং। ৮৪ কানির চিংড়ি ঘেরটির মধ্যে ১৫ কানি জমির তারা ক্রয়সূত্রে মালিক, ১২ কানি জমি তাদের বন্ধকি। অবশিষ্ট ৫৭ কানি জমি লাগিয়ত দিয়ে তারা ভোগদখল করছে। কিন্তু ২৩ ফেব্রুয়ারি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চিংড়ি ঘের জবরদখলের চেষ্টা চালায় একই এলাকার জালাল উদ্দিন গং। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নেজাম উদ্দিন আজিজুল হক রাখাল নামের দুই ব্যক্তি মারা যায়। ঘটনার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭টি বন্দুকসহ বেশকিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয় পেকুয়া থানায়। কিন্তু সম্প্রতি জালাল উদ্দিন গং উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে চিংড়ি ঘেরটি ফের জবরদখল চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা চিংড়ি ঘেরটি বাঁধ কেটে দিয়ে সমস্ত মাছ ধরে নিয়ে যায়।

সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী জয়নাব বেগম বলেন, আমার স্বামীসহ পরিবারের সকল পুরুষ সদস্য প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করেছে। সুযোগে সন্ত্রাসীরা চিংড়ি ঘেরটি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শুক্রবার রাত ১টার দিকে জালাল, শাহাব উদ্দিন, আলমগীর, মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর, রুবেল রাশেদসহ ২০-২৫জন সন্ত্রাসী বন্দুক, দা-কিরিচ নিয়ে চিংড়ি ঘের পাহারাদারদের ধাওয়া দেয়। এসময় পাহারাদারদের রক্ষার্থে পরিবারের নারী সদস্যরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হামলা চেষ্টা চালায়। পরে প্রাণনাশের আশঙ্কায় আমরা পিছু হটলে সন্ত্রাসীরা গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চিংড়ি ঘেরের মাছ লুট করে। চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে পানি বের করে দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত মাছ তারা লুট করে নিয়ে যায়।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিরোধীয় চিংড়ি ঘেরটিতে কাউকে না যেতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউর ইসলাম বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আইনগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

-সিভয়েস/এসএ

পেকুয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়