Cvoice24.com


সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হল রাখাইন জলকেলী উৎসব

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১৯ এপ্রিল ২০১৯
সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হল রাখাইন জলকেলী উৎসব

ছবি সিভয়েস

পুরোনো বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হল রাখাইন জনকেলী উৎসব। বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া দিনের এই উৎসবে আনন্দে মেতে উঠেছিল সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই রাখাইন জলকেলি উৎসব জেলার রাখাইন-বাঙ্গালির মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। এতে রাখাইন পল্লীসমূহ রূপ নিয়েছিল সার্বজনীন অহিংস কেন্দ্র বিন্দুতে।

রাখাইন নববর্ষ ১৩৮১ কে স্বাগত জানাতে বুধবার থেকে টানা দিন ধরে চলছিলমাহা সাং গ্রেং পোওয়েবা জলকেলী উৎসব।

শহরের রাখাইন পাড়া, টেকপাড়া, হাঙ্গর পাড়া, বার্মিজ স্কুল এলাকা, আরডিএফ প্রাঙ্গণ, ক্যাং পাড়া বৈদ্যঘোনাস্থ থংরো পাড়াসহ পুরো রাখাইন পাড়ায় চলছিল এই উৎসব।

উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন দুপুর থেকে ঐতিহ্যবাহী রঙ্গীন পোষাক পরে স্ব-স্ব রাখাইন পল্লীতে বাদ্য বাজনার তালে তালে দলবেঁধে ছুটে যায় রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। রাখাইন তরুণ-তরুণীরা নতুন আকর্ষণীয় পোষাক পরিধার করে সেজেগুঁজে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থান করার পাশাপাশি জলকেলী উৎসবের প্যান্ডেলে গিয়ে একে অপরকে পানি নিক্ষেপ করে আনন্দ প্রকাশ করে। এসময় নাচ-গানসহ চলে আনন্দঘন এক মুহুর্ত। তারা একে অপরকে জল ছিটিয়ে পুরোনো বছরের হতাশা দূর করে নব আলোকে পথ চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের মং ছেন রাখাইন বলেন, আমরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানোর মধ্য দিয়ে পুরনো দিনের সকল ব্যাথা, বেদনা, হিংসা ভুলে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। এটি আমাদের কাছে খুবই পবিত্র এবং আনন্দের।

একইভাবে মংকাসিং নামে এক রাখাইন যুবক জানান, এই উৎসবে সকল ধর্মের লোকজন অংশগ্রহণ করে। এর মাধ্যমে সবার মাঝে একটি সুন্দর সর্ম্পক তৈরি হয়।

জলকেলী উৎসবে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সম্প্রীতির মাধ্যমে নির্ভয়ে উৎসব পালনের আহবান করেন রাখাইন ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন বলেন, ‘আনন্দের সাথে সম্প্রীতির মাধ্যমে নির্ভয়ে এই উৎসব পালন করা হয়েছে। এই উৎসব শুধু রাখাইন সম্প্রদায়ের নয় এটি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সবার উৎসব। আর আমাদের সাথে আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা ছিল রাখাইনপাড়া। জলকেলী উৎসবে নিরাপত্তা ব্যাপারে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, জলকেলী উৎসব উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্বরত ছিল সাদা পোষাকধারী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাথে ছিল র‌্যাব সদস্য। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই রাখাইন উৎসব পরিণত হয়েছিল সম্প্রদায়ের মিলনমেলায়।

-সিভয়েস/এসএ

ওমর ফারুক হিরু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়