Cvoice24.com


চট্টগ্রামে পাহাড়ি এলাকায় পানির জন্য হাহাকার

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
চট্টগ্রামে পাহাড়ি এলাকায় পানির জন্য হাহাকার

ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম কষ্টে মধ্যে আছি। দু’দিন ধরে ওয়াসার পানি নেই। জমানো পানিও শেষ। গভীর নলকূপ থেকে যে পানি পাওয়া যায় তাও ব্যবহার অনুপযোগী। বছরের বিভিন্ন সময় নানা কারণে ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।  চাহিদা মতো পানি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কথাগুলো বলেন নগরীর ফয়’স লেক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ তাকি।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৫ শতাংশ এলাকা উঁচু-নীচু পাহাড়ি ভূমি। চট্টগ্রামে ওয়াসা পানি সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ ৭২ হাজার ৪১১ জন গ্রাহকের সঙ্গে। কিন্তু এখনও সব জায়গায় মিলছে না ওয়াসার পর্যাপ্ত পানি। 

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে চলতি বছর থেকে ওয়াসা সরবরাহ করছে ৩৫ কোটি লিটারের মতো।  এটি গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি লিটার বেশি। এতে দৃশ্যত পানির ঘাটতি কমলেও নগরীর উঁচু, পাহাড়ি এলাকা ও প্রান্তিক এলাকাগুলোতে সংকট থেকে গেছে বরাবরের মতোই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দক্ষিণ খুলশি, ফয়'স লেক, পাহাড়তলী ও বায়েজিদের মতো পাহাড়ি এলাকায় নেই ওয়াসার পানি সরবরাহ। এতে পুরো এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার।

দক্ষিণ খুলশি এলাকার বাসিন্দা আমিনুল্লাহ জানান, এ এলাকায় সবসময় পানি পাওয়া যায় না। যারা নিচু জায়গায় আছে তারাও পানির সংকটে।। আমরা তো পাহাড়ি এলাকায়  মোটেও পানি পাই না। যে কারণে আমাদের পানির জন্য আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা শামীম আকতার বলেন, মিটার সরবরাহসহ লাইন সংযোগ দেওয়া আছে ঠিকই। কিন্তু লাইনে পানি আসে না। কোনো রকমে পানি ক্রয় করে নিজেদের চাহিদা মেটাচ্ছি। 

পানির সরবরাহের সমস্যার কথা অফিসে জানিয়ে সঠিক সমাধান না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বায়েজিদ এলাকার জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী মনোয়ার জাহান বলেন, ‘ওয়াসাতে যখনই যোগাযোগ করা হয় তখনই তারা বলেন, পানি আসবে, লাইনে একটু সমস্যা হয়েছে। কিন্তু পানি আর আসে না। আর আসলেও ঠিক সময়ে পানি পাই না। অফিসে অভিযোগ করলে তারা উত্তর দেন, “২০২১ সালের মধ্যে পানি সরবরাহের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাহলে এখন পানি সরবরাহের লাইনের চার্জ না নিলেই তো পারে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুল্লাহ বলেন, গ্রাহকদের সমস্যা বুঝতে পারছি। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে গ্রাহককে ভালো সেবা দিতে পারি। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আশা করি  
পাহাড়ি ও সমতল সব এলাকার গ্রাহকদের পানির  সমস্যা দূর হবে।

গ্রাহকদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে আমাকে অভিযোগ করেন যে তারা ঠিকভাবে পানি পায় না। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই আশা করি গ্রাহকদের এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

-সিভয়েস/আই

মিনহাজ মুহি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়