Cvoice24.com


জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন ছালাম

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ৯ এপ্রিল ২০১৯
জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন ছালাম

আবদুচ ছালাম

জলাবদ্ধতা নিরসনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকার পরেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। নগরবাসী অপেক্ষায় ছিলেনজলাবদ্ধতার যন্ত্রণা থেকে কখন মিলবে মুক্তি। কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর সেই আশা পূরণে ব্যর্থ হলেন আবদুচ ছালাম।

সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় নগরজুড়ে। তখন নগরবাসী পড়েন চরম দুর্ভোগে। সরকার নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্পের কাজ দিয়েছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)’কে। প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ছিল জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি। কিন্তু সিডিএ প্রকল্প হাতে পেলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা পূরণ করতে পারেনি নগরবাসীর।

সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে রক্ষায় মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে (২০১৭-২০১৮) অর্থবছরে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ প্রস্তাবনা ছিল।

সিডিএর প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে এবং নগরবাসীকে মুক্তি দিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে ৩৬টি খাল সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল। খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি বালির ফাঁদসহ (সিল্ট ট্র্যাপ) নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু এত পরিকল্পনা থাকার পরেও জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ সম্পন্ন হলো না।

প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, ৫৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নগরের ৩৬টি খালের লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার কাদা অপসারণ এবং লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ঘনমিটার মাটি খনন। হাজার ৬৪০ টাকায় খালের দু’পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল। ৩৩৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় খালের ওপর ৪৮টি সেতু ছয়টি কালভার্ট। ৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় পাঁচটি টাইডাল রেগুলেটর (জোয়ার প্রতিরোধক) ২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৪২টি বালির ফাঁদ (সিল্ট ট্র্যাপ) এছাড়াও বন্যার পানি সংরক্ষণের জন্য তিনটি জলাধার খালের পাড়ে রাস্তা নির্মাণ। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হাজার ৫১৬ কাঠা জমি অধিগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু তাও বাস্তবায়ন হয়নি।

নানা বাধা কাটিয়ে নগরীর দুঃখ জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প হাতে পেয়েছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নকে ঘিরে ছিল নানা পরিকল্পনা। কিন্তু সব পরিকল্পনা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে এবং নগরবাসীকে অভিশাপ থেকে মুক্তি না দিয়েই সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব তুলে দিতে হলো নতুন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের হাতে। পরিশেষে তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার পরিচয়ই দিয়ে গেলেন।

-সিভয়েস/এসএ

মিনহাজ মুহি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়