Cvoice24.com


ইকবাল বাহার এ সমাজের নয়, আগামী সমাজের সেবক 

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৩১ মার্চ ২০১৯
ইকবাল বাহার এ সমাজের নয়, আগামী সমাজের সেবক 

আমাদের দেখা হয় এ সমাজের সেবকদের সাথে, ওনারা বিভিন্নভাবে সমাজসেবা করেন। তারা কখনও পথ-ঘাট মেরামত বা মসজিদ-মন্দির নির্মাণ করেন, আবার কখনও হতদরিদ্র গরীবদের অনুদান দেন। অনেকে গড়েন আলোর ঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যা এ সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এসব কাজের পেছনে সুন্দর পরিকল্পিত অসৎ উদ্দেশ্য থাকাটাও অস্বাভাববিক নয়। তবে একজন সমাজসেবক আরেকজন সমাজসেবক তৈরিতে কখনও কাজ করেন না। আমি এমনও সমাজসেবক-দানবীর দেখেছি, যাদের নামের সামনে এসব তৈলাক্ত পদবী ব্যবহার করলে যথেষ্ট কষ্ট পান, এ সমাজের সমাজসেবকরা। তবে উদ্দেশ্য যাইহোক, মানুষ উপকৃত হচ্ছে সেটাও সত্য কথন। 

আমি এমন একজন সমাজসেবককে চিনি, যিনি গতানুগতিক কোনো সমাজসেবা করেন না। আগামী প্রজন্মের জন্য তরুণ-তরুণীদের উজ্জ্বীবিত করেন। নিজের সমাজসেবার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীদের অনলাইনে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।  শুধু মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণা নয়, কিভাবে ব্যবসায় বিনোয়োগ করবেন, কিভাবে কঠিন পথ পাড়ি দিবেনসহ আদ্যোপান্ত।  তবে এ ট্রেনিংয়ে সবচেয়ে কঠিন পাঠ্যটি হল, ওনি প্রতিটি ট্রেনিংকে ভালো মনের মানুষ করে তুলেন, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। আর এসব ভালো মানুষগুলো কখনও দেশকে ঠকিয়ে, জাতীকে লজ্জ্বিত করে কোনো ব্যবসা করার সাহস করবে না। তারা নিঃসন্দেহে নিজের প্রতি, পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠবেন। আমি এত জোর দিয়ে বলার কারণ হল- আমি নিজেও ইকবাল বাহারের প্রথম ৯০ দিনের ট্রেনিংয়ের একজন ট্রেনিং। কোনো ফি ছাড়া, স্পন্সর ছাড়া বাংলাদেশের এমন সমাজসেবার দৃষ্টান্ত একটিই।

বর্তমান সময়ে তরুণরা চাকরির পাশাপাশি একজন ভালো উদ্যোক্তা হতেও আগ্রহী।  কীভাবে একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায় তা হয়তো অনেকে জানেন না। আবার অনেকে না জেনে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তর ধরনা নিয়ে যদি বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুব কম। যারা এমন ভাবছেন যে, কীভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় বা কোথায় থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার মন্ত্র শেখা যাবে। তাদের জন্য সমাধান নিয়ে দেশেই কাজ করছেন ইকবাল বাহার নামের একজন উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর।

দেশের ৬৮টি জেলাসহ বিশ্বের ১৭টি দেশের তরুণদের একসঙ্গে অনলাইনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির মন্ত্র শেখান ইকবাল বাহার।  
এ প্রসঙ্গে ইকবাল বাহার নিজের অনুভূতি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, আমি নিজে স্বপ্ন দেখি ও তরুণদের স্বপ্ন দেখাই। এটা আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা যা আমি কোনো প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়া করি এবং প্রতিদিন ২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করি এই কাজে। প্রায় অসম্ভব একটি স্বপ্ন আজ সারাদেশের ৬৪ জেলা ও ১৭টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীদের মাঝে এই কার্যক্রম চলছে।

তিনি লাগাতার ৯০দিন করে ব্যাচ হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। যে পদ্ধতিতে তিনি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন সে প্রসঙ্গে ইকবাল বাহার বলেন, গত এক বছর ধরে ৪টি ব্যাচের মাধ্যমে চলেছে আমাদের এই অনলাইন কর্মশালা। একদিনের জন্যও আমাদের এই কর্মশালা বন্ধ ছিল না, শুক্রবার-শনিবার, সরকারি ছুটি এমনকি ঈদের দিনও কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এটা সারাবিশ্বে একটি ইতিহাস যে, টানা ৯০ দিনের কোনো কর্মশালা পৃথিবীতে কেউ কোনদিন করেনি।

প্রতিটি ব্যাচে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে কাজ করছেন ইকবাল বাহার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ৯০ দিন ধরে আমি শুধু উদ্যোক্তা হবার সকল কলা-কৌশল শিখাইনি, শিখিয়েছি কীভাবে একজন ভালো মানুষ হয়ে বুক ফুলিয়ে বেঁচে থাকতে হয়, কিভাবে সমাজের জন্য, দেশের জন্য কাজ করতে হয় এবং সফল হতে হলে দরকার মা-বাবার দোয়া।

ইকবাল বাহারে প্রত্যাশা, আগামী ২ বছরে দেশে ৩ হাজার উদ্যোক্তা তৈরির মধ্যদিয়ে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করা। ‘চাকরি করবো না, চাকরি দেবো’ স্লোগানকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি।

সিভয়েস/এএইচ

ওয়াসিম আহমেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়