Cvoice24.com


ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ২২ মার্চ ২০১৯
ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল

ছবি: আজীম অনন

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্টল-প্যাভিলিয়নের সাথে মেলা প্রাঙ্গনও ভরপুর ছিল মানুষের পদচারনায়। স্কুল-কলেজ, কোচিং বন্ধ থাকায় অভিভাককেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মেলায়। সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতেও অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় ছিল লক্ষনীয়। বাচ্চাদের খেলনা, কসমেটিকস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পণ্যের স্টলগুলোতে ক্রেতার সমাগম ছিল সবচেয়ে বেশি। বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন। কেউ সুন্দর করে কথা বলে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। আবার কেউ পণ্যে ছাড়, বিক্রয়োত্তর সেবার কথা বলছেন। বিক্রেতাদের দেয়া নানা অফারের মধ্যে ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পণ্য। দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগও নেই। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরের পর থেকেই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়। সন্ধ্যায় দর্শনার্থীর ভিড়ে ছাপিয়ে যায় পুরো মেলা প্রাঙ্গন। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের ভিড় লক্ষ্যনীয়। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে ভিড় কিছুটা কম দেখা গেলেও প্রাঙ্গণ জুড়ে মানুষের পদচারণা। বিক্রেতারাও পার করছেন ব্যস্ত সময়।

ক্রেতা-দর্শনার্থীর বিষয়ে বিক্রেতা মো. শফিকুল আলম বলেন, দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর তেমন সমাগম ছিলো না। দুপুর হতেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় মেলা প্রাঙ্গন।

ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ের সমাগমে বিক্রি-বাট্টার কথা জানতে চাইলে বিক্রেতা তোফায়েল আলম বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে বেশি। আল্লাহর রহমতে অন্য দিনের তুলনায় আজ বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো চলছে। গত শুক্রবারও বেচা-বিক্রি ভালো হয়েছে। তবে আজকে বিক্রি-বাট্টা অনেক বেশি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও ভালো হবে।

কথা হয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে আসা আনিসুজ্জামান আবিদের সাথে। তিনি বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় এসেছি। কর্মব্যস্ততার কারণে পরিবারের সাথে তেমনটা বের হওয়া হয় না। সপ্তাহের কর্মদিবসেও এমনটা সুযোগ হয়ে উঠে না। ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় আসার সুযোগ হয়েছে।

পরিবারকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসা কামরুন নাহার বলেন, ‘সকাল হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত চাপ ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। বিকাল ৪টার পর থেকে মেলা প্রাঙ্গন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে কিছুটা হিমশিম খেতে হয়। তারপরও ছুটির দিন কাটাতে পরিবারকে সাথে নিয়ে মেলায় আসতে পেরেছি এটাই অনেক।  

কথা হয় টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরতদের সাথে। তারা জানান, সকালে তেমনটা ভিড় ছিল না টিকেট কাউন্টারে। দুপুর পোহাতেই যেন দর্শনার্থীদের উপচে ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটি হওয়াতে তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি সপরিবারে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরাও ঘুরতে এসছেন মেলায়। লাইনে ভিড় থাকলেও দর্শনার্থীদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।

মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কামাল মোস্তফা চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। সন্ধ্যায় মেলা ঘুরে দেখতে পায়, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। বিক্রেতাদের কেউ মিষ্টি কথা আবার কেউ দিচ্ছেন মূল্যছাড়সহ নানা অফার। থাকছে গ্যারান্টিসহ বিক্রয়োত্তর নানা সেবার নিশ্চয়তা। এতে ক্রেতারাও কিনতে আগ্রহী প্রকাশ করছেন। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দাম নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। পছন্দ হলেই তারা কিনছেন। নিম্নবিত্ত থেকে বিত্তশালী সব শ্রেণির মানুষই পণ্য কিনছেন সাধ্যমতো।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়