Cvoice24.com


প্যারেন্টস্ কেয়ার স্কুল বৈঠকে মারমুখি সোলায়মান শেঠ

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২২ মার্চ ২০১৯
প্যারেন্টস্ কেয়ার স্কুল বৈঠকে মারমুখি সোলায়মান শেঠ

নগরীর একটি বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি’র বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠের বিরুদ্ধে মারমুখী আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

চকবাজারস্থ প্যারেন্টস্ কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি’র বৈঠকে শুক্রবার শিক্ষক মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পাতায় দেয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে প্যারেন্টস্ কেয়ারের পরিচালক আবুল ফজল সিভয়েসকে বলেন, বোয়ালখালীতে স্কুলের নিজস্ব এক একর এক গন্ডা জায়গা  দীর্ঘদিন ধরে দখল করার চেষ্টা করছেন সোলাইমান আলম শেঠ। জায়গাটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি গন্ডা দশ লাখ টাকা। অথচ সোলাইমান শেঠ জোরপূর্বক সেই জায়গা প্রতি গন্ডা মাত্র চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে স্কুল কতৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছে।

এতে রাজি না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসত্য বানোয়াট অভিযোগ করেন সোলাইমান শেঠ।

যার রেশ ধরে আজ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি দুই কর্মকর্তার সামনে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকার উপর অতর্কিত হামলা করেন সোলাইমান শেঠ৷ এসময় তিনি অধ্যক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও করেন।  

বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সোলাইমান শেঠ এই হামলা  চালিয়ে স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা.আব্দুল করিম বলেন, আমি এসময় তাকে নিবৃত্ত করতে গেলে তিনি আমাকেও বাজে গালি গালাজ করেন। এমনকি জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এসময় সোলাইমান শেঠ ও তার সাথে আসা বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রতিষ্ঠানের এডমিনকে  অপহরণ করে  নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলেও দাবি করেছেন ডা. আব্দুল করিম।

এসব কর্মকাণ্ড মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে একজন শিক্ষককে মারধর করে তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এবং ব্রাশ ফায়ার করে মারার হুমকিও দেয়।

পরে সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত পুরো ঘটনার ভিডিও তাদের ফেসবুক পাতায় প্রচার করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষা অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা সোলাইমান শেঠকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এই সন্ত্রাসী হামলার কারণে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকসহ সকলেই আতঙ্কগ্রস্থ জানিয়ে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ডা. আব্দুল করিম।

এ ব্যাপারে সোলায়মান শেঠের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিভয়েসকে বলেন, আমি গভর্নিং বডির ভাইস চেয়ারম্যান। কিন্তু চেয়ারম্যান ডাক্তার আব্দুল করিম হলেন একজন রাজাকার এবং দুর্নীতিবাজ। একসময় ওর হোটেলে ইয়াবা পাওয়া গিয়েছিল। ও নানা অনিয়ম করাতে মিটিং এ ধরেছিলাম। ও সকল শিক্ষকদের নানা রকম হয়রানি করে। সকল শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। ডাইরেক্টরদেরও মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয় দেখায়। গত পাঁচ বছরেও কোন গভর্নিং কমিটির মিটিং ডাকেনি। নিজেই সব টাকা পয়সা লুটপাট করে খেয়েছে। আমি দুদুকেও তার নামে অভিযোগ দিয়েছি। 

জায়গা দখলের অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি কোন স্কুলের জায়গা দখল করিনি। আমার তো জায়গার অভাব নেই। এ কথা আপনাকে কে বলেছে ? যারা বলেছে তারা মানুষের সন্তান নয় বলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

-সিভয়েস/এআরটি/এমআইএম/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়