Cvoice24.com


নজরুল হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ২০ মার্চ ২০১৯
নজরুল হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

দীর্ঘ ১১ বছর পর ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দোহারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়।

আজ বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আদেশ দেন। এছাড়া আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, দিদার, এরশাদ, কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজাহার কারিগর, মিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, . জলিল কারিগর, জালাল, বিল্লাল, ইব্রাহিম . লতিফ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চায়না বেগম মজিদন ওরফে মাজেদা। দুজনেই পলাতক রয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দিদার, এরশাদ , . জলিল কারিগর, ইব্রাহিম পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের এপ্রিল সকালে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার মামা মামলার বাদি ডা. নাজিম উদ্দিন আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে সময় তারা মামলার বিষয়ে কথা বলছিলেন। কথা বলার একপর্যায়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ১৫ মিনিট পরে নাজিম উদ্দিনের বড় বোন চন্দ্রবান ফোন দিয়ে তাকে জানান আসামি সিরাজ নজরুল তার স্ত্রী-পুত্রকে মারপিট করছে। নজরুলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে জয়পাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নজরুলকে মাইক্রোবাসে ঢামেকে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি তার মামাকে জানান, আসামিরা তাকে লোহার রড, লাঠি, হাতুড়ি দিয়ে হাত, পা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তার স্ত্রী সূর্যবানুকে মারপিট করা হয় বলেও জানান। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নজরুলকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিনই নিহত নজরুলের মামা ডা. নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ দোহার থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২৬ জুলাই জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এস আই আনোয়ারুল করিম এজাহারনামীয় ১৫ আসামিসহ ইব্রাহিম, লতিফ চায়না বেগমকে সম্পৃক্ত করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে ফৈমুদ্দিন নামে এক আসামি মারা যান। পরের বছর ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটিতে বিভিন্ন সময় আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কাজী শাহানারা ইয়াসমিন।

-সিভয়েস/এনএইচ/এসএ

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়