Cvoice24.com

চট্টগ্রামে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১২ মার্চ ২০১৯
চট্টগ্রামে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতন

নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় বিচার প্রার্থীদের জন্য চট্টগ্রামে ৭টি আদালত রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ১২টি থানা এবং চট্টগ্রাম মহানগরে ১৬টি থানা এলাকায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলো এই ৭টি আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম আদালতের ৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ঘুরে দেখা গেছে গত দুই মাসে অস্বাভাবিকহারে মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই ৭টি আদালতে গড়ে ১০টি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার আওয়াতাধীন থানাগুলোর নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলাগুলোর বিচারকাজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ থানা এলাকা, ট্রাইব্যুনাল-২ এ ফটিকছড়ি, পাহাড়তলী, হাটহাজারী, লোহাগাড়া ও মিরসরাই থানা এলাকা, ট্রাইব্যুনাল-৩ এ পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও সন্দ্বীপ থানা এলাকা, ট্রাইব্যুনাল-৪ এ সাতকানিয়া, সীতাকুন্ড, আকবরশাহ, বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা, ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বাকলিয়া, বন্দর, চাদগাঁও, চকবাজার থানা এলাকা,   ট্রাইব্যুনাল-৬ এ ডবলমুরিং, ইপিজেড, হালিশহর, খুলশি ও কর্ণফুলী থানা এলাকা, ট্রাইব্যুনাল-৭ এ কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ, পতেঙ্গা ও সদরঘাট থানা এলাকায় হয়ে থাকে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে মোট ৫৫৯ টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১নম্বর এবং ২নম্বর আদালতে। দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এ ১১৮টি, ২ নম্বর আদালতে ১২১, ৩ নম্বর আদালতে ৭৭, ৪ নম্বর আদালতে ৭৯, ৫ নম্বর আদালতে ৬৫, ৬ নম্বর আদালতে ৭২, ৭ নম্বর আদালতে ৬৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই দুই মাসে ১১ দিন সাপ্তাহিক এবং সরকারি ছুটি থাকায় আদালতে স্বাভাবিক কার্যদিবস ছিল ৪৮ দিন। দুই মাস হিসেবে ধরলে গড়ে ১০ টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর স্বাভাবিক কার্যদিবসের হিসেবে দেখলে দেখা যায় প্রতিদিন ১২টির বেশি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সংখ্যা হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রীয় কোঁসূলি এম এ নাসের সিভয়েসকে বলেন, আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন আর বিশ্বাসের জায়গা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। পারস্পরিক  আস্থা আর বিশ্বাস হারাতে বসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব নানা কারণে নারী নির্যাতনের মতো ঘটনার হার বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় শিশু আইনের ভাষায় আমরা যাকে ‘মাইনর’ বলি তাদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতন করা হয়। এছাড়া যৌতুক এবং প্রযুক্তির অপব্যবহারের জন্যও আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে থাকে।
ভয়াবহ এই সমস্যা থেকে উত্তোরণের উপায় হিসেবে তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলোর বিচার কাজ সম্পন্ন করতে যে দীর্ঘ সময় লাগে তাতে বিচারপ্রার্থীরা অনেক সময় হতাশ হয়ে যান। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা বিচারহীনতার সমান।
সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করারও দাগিদ দেন এই সিনিয়র আইনজীবী।

সিভয়েস/এএইচ

মুহাম্মদ নাজমুল হাসান

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়