Cvoice24.com


চোখে মুখে ওদের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ৭ মার্চ ২০১৯
চোখে মুখে ওদের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন

আজহরুল ইসলাম রুমেল। বয়স ৭ বছর। গত জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছে জুনিয়র ক্রিকেট একাডেমী। প্রতিদিন পাথরঘাটা থেকে আসেন ক্ষুদে এ ক্রিকেটার। চোখ মুখে তার স্বপ্ন। কার মত হতে চাও? নির্ধিধায় বলে দিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র বিরাট কোহলি হতে চাই। রুমেলের মত অনেকেই এক বুক স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হাঁড়ভাঙ্গা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আশপাশে। তারা সবাই বড় ক্রিকেটার হতে চায়। তাদের স্বপ্নের সারথি হয় ক্রিকেট একাডেমীগুলো। ক্রিকেটের এ বি সি তারা এখান থেকে শিখে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের অলিতে গলিতে অনুশীলন করে বিশ্ব ক্রিকেটে তাক লাগিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, নাফিজ ইকবাল, আফতাফ আহমেদ, নাজিম উদ্দিন সর্বশেষ উদীয়মান নাঈম হাসান সবাই এ চট্টগ্রামের মাঠ থেকে উঠে গিয়েছিলেন। তাই তো ক্ষুদে এ ক্রিকেটারদের পরম চাওয়া ক্রিকেটার হওয়া। 

জানা গেছে, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জুনিয়র ক্রিকেট একাডেমী, চট্টগ্রাম ক্রিকেট একাডেমী, ইস্পাহানী ক্রিকেট একাডেমী ও ব্রাদার্স একাডেমী অনুশীলন করে থাকে। প্রতিদিন বিকেল ৩ টায় ক্রিকেট সামগ্রীসহ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাজির হয় ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। চারদিকে কিশোর-তরুণদের কোলাহল। কেউ প্যাড-হেলমেট চাপিয়ে নেটে ব্যাটিং করছে। কারও বোলিং অ্যাকশন ঠিক করতে ঘাম ঝরাচ্ছে। আবার ছোট ছোট দলে ব্যস্ত শরীর চর্চায়। এমনটি দেখা গেছে ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায়। 

এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে নবম শ্রেণির রহমত উল্যাহ সাব্বির (১৪)। সে জুনিয়র ক্রিকেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ২ বছর ধরে। সাব্বির সিভয়েস কে বলেন, সে মুশফিকের মত ব্যাট করতে চাই। সে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ লীগে খেলেছে। বাংলাদেশের হয়ে সে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। 

কথা হয় বিশ্বজিৎ বিশ্বাস স্বপ্ন (৮) এর সাথে, বামহাতি এ ক্ষুদে ব্যাটসম্যানের স্বপ্ন তামিমের মত বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করতে করার। সে ইস্পাহানী ক্রিকেট একাডেমীর ছাত্র।

এদিকে ছেলেদের প্রশিক্ষণে আনতে নিয়মিতই স্টেডিয়াম পাড়ায় থাকে অভিভাবকদের পদচারণা। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে দুর্জয় মজুমদার কে নিয়ে এসেছেন তার মা লুনা মজুমদার। দুর্জয়র বাবা আকবর শাহ থানার পুলিশ কর্মকর্তা। দুর্জয়র মা সিভয়েস কে বলেন, ছেলের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। তাই একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দিলাম। ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য দেখে আমরা চাই আমাদের ছেলে ক্রিকেটার হোক। 

জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমির কোচ তপন দত্ত বলেন, ক্রিকেটের তরুনদের আগ্রহ অনেক বেশি। তবে মাঠ সংকটের কারণে আমরা ম্যাচ খেলাতে পারি না। একাডেমিগুলোতে ছেলেদের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের জন্য তৈরি করে থাকি। 

ইস্পাহানী একাডেমীর কো - অর্ডিনেটর মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, আমাদের প্রায় ১৫০ জনের মত ছাত্র আছে। বেশিরভাগ সময় আমরা মাঠ পায় না। তাই ছেলেরা ভালোভাবে খেলতে পারে না। 

বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেট জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেটের এ উন্মাদনা ছুঁয়ে যায় সকলকে। ক্ষুদে এ ক্রিকেটাদের চোখে মুখে স্বপ্ন। কেউ তামিম, কেউ সাকিব, কেউ মাশরাফি   হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্রিকেট একাডেমিতে যাওয়া-আসা করছে। তামিম ইকবাল ও সর্বশেষ নাঈম হাসান ছাড়া জাতীয় দলে  চট্টগ্রাম থেকে কেউ চান্স না পাওয়ার কারণ হিসেবে মাঠ সংকটকে দায়ী করছে ক্রিকেট প্রেমীরা।

-সিভয়েস /ওআই /এএস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়