Cvoice24.com


বিআরটিএ’তে ৫ মাসে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ৭ মার্চ ২০১৯
বিআরটিএ’তে ৫ মাসে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে

চট্টগ্রাম বিআরটিএ

পাঁচ মাস ধরে বিআরটিএ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। গত ৫ মাসে ৬ কোটি ৩৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে  বলে জানিয়েছে বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা, উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কারণে বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স নবায়ন শুরু হয় পুরোদমে। ফলে রাজস্ব আয় বেড়েছে।

২০১৮ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে এবং আগস্টের প্রথমদিকে দেশজুড়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের ডাক দেয়। ফলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষও তৎপর হয়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নিয়োগের পর অভিযান চলছে দেশের বিভাগীয় শহর এবং মহানগরী এলাকায়।

এর প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএ’তেও। ফলে বেড়েছে লাইসেন্স, ফিটনেস,  রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স নবায়ন সেবা গ্রহীতার সংখ্যা।  

এরমধ্যে অনেক গাড়ির বিগত অনেক বছর ধরে সরকারি কর প্রদান না করে রাস্তায় দাপটের সাথে চলছিল। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ফলে এসব গাড়িগুলো ফাঁদের মধ্যে পড়ে যায়। যেসব গাড়ি ট্যাক্স টোকেন এবং নবায়ন হালনাগাদ করা হয়নি, সেসব গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেন আদালত। ফলে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র নতুন করে নবায়ন করার পরে গাড়িগুলো ফেরত দেয়া হয় মালিকদের কাছে।  

আব্দুল মালেক নামে একজন গাড়ির মালিক জানান, আমার গাড়ির কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়াতে আমাকে মামলা দিয়ে কাগজপত্র জব্দ করে রাখে ম্যাজিস্ট্রেট। ফলে বিআরটিএ’তে এসে সব বকেয়া ফি জমা করলে আমার কাগজপত্র ফেরত দেয়া হয়।  

আরেক গাড়ির মালিক সায়েদ উল্লাহ জানান, আমার গাড়ির যে কাগজপত্রের মেয়াদ চলে গিয়েছিলো তা আমার জানা ছিলো না। গাড়িটা আটক করার পর বিষয়টি জানতে পারি। ফলে আমার কাগজপত্রগুলো পুনরায় নবায়ন করার সুযোগ পেয়েছি।

বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ সিভয়েসকে বলেন, বর্তমানে মানুষ অনেক সচেতন হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে সরকার আমাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছেন। উনারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন বলেই সরকার এখন রাজস্ব পাচ্ছে।

ব্যাপারে বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীর সিভয়েসকে বলেন, মোবাইল কোর্ট করার ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। আমরা মোবাইল কোর্ট করার সময় যেসব গাড়িতে ফিটনেস বা কাগজপত্রের বেশি সমস্যা ছিল সেগুলো আমরা জব্দ করেছি। এতে গাড়ির মালিকগণ সরকারি বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে সকল কাগজপত্র হালনাগাদ করতে বাধ্য হন। যার কারণে পর্যন্ত সরকারি রাজস্ব খাতে নিয়মিত জরিমানার অতিরিক্ত রাজস্ব জমা হয়েছে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি যেটি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করে সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতায় আমরা কাজে সচেষ্ট হব বলে আশা করি।

-সিভয়েস/এএস/এসএ

মনিরুল ইসলাম মুন্না

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়