Cvoice24.com


নীতিমালা না মেনে 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' পদে চবি উপাচার্য, বয়কট উপ-উপাচার্যর

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ৭ মার্চ ২০১৯
নীতিমালা না মেনে 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' পদে চবি উপাচার্য, বয়কট উপ-উপাচার্যর

উদ্বোধন অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)  'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' (গবেষণা কেন্দ্র) উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অপরদিকে বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়নি বলে মনে করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১২ টায় দায়িত্ব নিয়ে নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় চবি উপাচার্য 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' উদ্বোধন করেন।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এর বর্ণিল জীবন চরিত্র নিবিড়ভাবে পাঠ, পঠন, চর্চা ও গবেষণার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার (গবেষণা কেন্দ্র)’ প্রবর্তন করা হয়েছে। বেতন-ভাতাসহ নীতিমালায় থাকা কোন ধরণের সুযোগ-সুবিধা না নিয়েই চবি উপাচার্য এ দায়িত্ব নেন। 

চবি ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা একটি অবিস্মরণীয় উদ্যোগ। যারা এ নীতিমালা করেছেন তারাই আমাকে এই চেয়ার মনোনীত করেছেন। আমি তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ দায়িত্ব নিয়েছি। যারা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, তারা যদি মনে করেন এই চেয়ার আমাকে দেবে সেক্ষেত্রে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। আমিও চাই যে এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক না হোক। যারা বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু চেয়ারকে নিয়ে বিতর্ক করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা আমার প্রয়োজন নাই। আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করে আসছি এবং গত ১০-১২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করছি। যা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।'

অপরদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদের নীতিমালার ২-এর ‘ঘ’ অনুচ্ছেদে লেখা আছে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কীর্তি, রাজনীতি, আদর্শ ও কর্ম এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিষয়ে একাধারে ২০ বছর গবেষণা/লেখালেখি হিসেবে স্বীকৃত/আন্তর্জাতিকমানের প্রকাশনা হিসেবে অন্তত ১০টি নিবন্ধ/প্রবন্ধ/বুক চ্যাপ্টার থাকতে হবে।’ পাশাপাশি ৩ অনুচ্ছেদে দায়িত্বের ‘ঙ’-তে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত অধ্যাপকগণের অন্তর্ভুক্ত হবেন না এবং পদাধিকারবলে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন না।’

 

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, এ দায়িত্ব কাউকে দিতে হলে বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটে পাশ হতে হয়। কিন্তু এসবের কোন কিছুই মানা হয়নি এখানে। শুধুমাত্র এ পদ পরিচালনার এবং এর বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া নীতিমালা তৈরি হওয়ার পর একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো মতামত না নিয়ে সিন্ডিকেটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। তিনি আরও বলেন, আমি ভিসি  মহোদয়কে  ব্যক্তিগত ভাবে বলেছি ‘আপনার সাথে প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন কালে কোন মতপার্থক্য দেখা দেয়নি তবে এই বিষয়টিতে বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িয়ে আছে তাই এখানকার কোন অনিয়ম আমি মেনে নিতে পারি না। তাছাড়া আপনি তো এক দেড় বছর ধরে বঙ্গবন্ধু নিয়ে লেখালেখি করছেন। তাই আপনার থেকে যারা এ বিষয়ে এগিয়ে তাদের কাউকে নিয়োগ দেন।’

-সিভয়েস/এস

চবি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়