অনুপযোগী, তবুও প্যারেড মাঠে হরেক খেলা
ছবি: সিভয়েস
বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই বললেই চলে। যে ক’টি মাঠ আছে এর অধিকাংশই খেলাধুলার অনুপযোগী। তাই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খেলোড়ারা । নগরীর পরিচিত এবং ঐতিহ্যবাহী মাঠ প্যারেড ময়দান। সিরাজউদ্দৌলা রোড ও কলেজ রোডের মধ্যবর্তী স্থানে এই মাঠের অবস্থিত। এটি মূলত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের মাঠ। তবে সবার কাছে এটি প্যারেড ময়দান বা প্যারেড মাঠ হিসেবে পরিচিত। এ মাঠে প্রতিদিন চলে হরেক রকমের খেলাধুলা। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলা জমজমাট আসর বসে এ মাঠে।
আজ রোববার ( ৩মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, খেলাধুলার জন্য মোটেও উপযোগী নয় মাঠটি। মাঠের বেশিরভাগ স্থানে বালি আর বালি। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে মাঠে শর্টপিচ ক্রিকেট খেলছে প্রায় ১০টি দল। বলিবল খেলছে ১টি দল । কয়েকটি দল নেট প্র্যাকটিস করছে । কয়েকজন মিলে খেলছে ব্যাডমিন্টন।
এছাড়া মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কর্ণারে কয়েকজন ফুটবলারকে ফুটবল অনুশীলন করতেও দেখা গেছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন প্রশিক্ষক হায়দার কবির প্রিন্স। কথা হয় তার সাথে।
তিনি সিভয়েসকে বলেন, বাংলাদেশে ফুটবলের অবস্থা খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে খেলার মাঠ সংকট। এ মাঠে বালির মধ্যে অনুশীলন করতে হয় খেলোড়ারদের। আমরা মাঝে মাঝে পানি কিনে এনে মাঠে ছিটায়। অনুশীলনের জন্য দরকার ৪৫ গজ মাঠ। কিন্তু আমরা ২০ গজও পাচ্ছি না। কারণ পুরো মাঠে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে খেলছে। এখানে পাসিং ছাড়া কিছুই করা যায় না। তাও বালির কারণে সঠিকভাবে পাসিং করা যায় না। প্যারেড মাঠে শুষ্ক মৌসুমে থাকে বালি আর বর্ষা মৌসুমে থাকে হাঁটু পরিমাণ পানি। মাঠে ৩ ফুট উঁচু করে মাটি ভরাট করা জরুরি প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পেশাদার খেলোয়ারদের জন্য চট্টগ্রামে আলাদা ফুটবল মাঠ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসান বলেন, ২০১৩ সালে মাঠ সংস্কার করা হয়েছিল। মাঠ সংস্কারের জন্য আমাদের আপাতত কোন ফান্ড নেই। তবে মাঠে ঘাস লাগানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে। ঘাস লাগালে কিছুটা সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং খেলার জন্য কিছুটা উপযোগী হবে।
-সিভয়েস/ওআই/এসএ
ক্রীড়া প্রতিবেদক