Cvoice24.com


ভুয়া নিয়োগপত্রে অর্থ প্রতারণার অভিযোগে চসিকের টিও বরখাস্ত

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ভুয়া নিয়োগপত্রে অর্থ প্রতারণার অভিযোগে চসিকের টিও বরখাস্ত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে  ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত টেক্সেশন অফিসার জানে আলম ৯ জন যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাত করেছেন। প্রতারিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নির্দেশে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো সামসুদ্দোহা স্বাক্ষরিত বরখাস্ত আদেশটি অভিযুক্ত জানে আলমের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চসিক সূত্র থেকে জানা যায়, রাজস্ব বিভাগের ৫ নং সার্কেলের টেক্সেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জানে আলম ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কয়েক জনের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাত করেছেন। এমন অভিযোগ এনে মনছুরাবাদ নিবাসী জনৈক আবদুল কুদ্দুস মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।  অভিযোগকারীর দাখিলকৃত ভিডিও ফুটেজে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগপত্র জারির বিষয়টির স্বীকারোক্তিও রয়েছে বলে জানা যায়। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার হয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার পরিষদ কর্মচারী বিধিমালা ১৯৬৮ ৩ (খ) ধারায় অভিযোগ আনীত হয়। একইসাথে ওই আইনের ৯ ধারা মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, রাজস্ব বিভাগের ওই কর্মকর্তা ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অনেকের কাছ থেকে  অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে আমার কাছে প্রতারিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে এ অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে যমুনা টিভিতে সংবাদও প্রচারিত হয়। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর দাখিলকৃত ফুটেজে ওই কর্মকর্তার নিয়োগপত্র জারির স্বীকারোক্তি প্রমাণিত হয়েছে। সামগ্রিক প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব বিভাগের টেক্সেশন অফিসার এসএসসি পাশ করে ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে চসিক টিমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে পদায়ন হয় তার। মেয়র মনজুর আলমের আমলে এই কর্মকর্তা নিজেকে মেয়রের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন। উপরন্তু মেয়র মনজুর আলমের আমলেই এই কর্মকর্তা স্বাস্থ্য সহকারী থেকে ক্রোকী কর্মকর্তা, ক্রোকী কর্মকর্তা থেকে ডিটিও (ভারপ্রাপ্ত) এবং সেখান থেকে টিও (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে যান। টেক্সেশন অফিসার পদে পদায়নের পর তার দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যায়। চসিকের লেক ভিউ আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে জানে আলম অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন। প্রতারিত ব্যক্তিরা তাকে কর্পোরেশন অফিস থেকে ধরে নিয়ে যায়। সেসময়  এক কাউন্সিলরের হাতে পায়ে ধরে প্রতারণার টাকা কিস্তিতে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান।  এবার এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৯ যুবকের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হয়।

-সিভয়েস/এসএ

উজ্জ্বল দত্ত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়