Cvoice24.com


বাণিজ্যিক চাষ নেই, ঝাড়ু ফুলের উৎপাদন কমছে

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
বাণিজ্যিক চাষ নেই, ঝাড়ু ফুলের উৎপাদন কমছে

ঝাড়ুফুল

প্রাকৃতিক ভাবেই পাহাড়ে জন্মায় ঝাড়ু ফুল। বাসাবাড়িতে ঝাড়ু ফুলের কোন বিকল্প নেই। দিনদিন এর চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন সেই ভাবে বাড়ছে না। মৌসুমে এ ফুল সংগ্রহ করে থাকে সকলে। দেশের বিভিন্ন হাটবাজারের মতো ফটিকছড়ির হাটবাজারেও ধুম পড়ে ফুল ঝাড়ু বা উলু ফুল বিক্রি।

সরেজমিনে উপজেলার বিবিরহাট, নাজিরহাট, নানুপুর,আজাদী বাজার, দৈালত মুন্সির হাট,কাজিরহাটসহ বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারে প্রচুর পরিমান ঝাড়ু ফুল আসছে। ভাল বিক্রিও হচ্ছে। আট দশটি শলকা আটিঁ করে বেধেঁ বিশ ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। তৈরি করা আটি বিক্রি করছে ৫০ টাকা করে। বিক্রেতারা উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির থেকে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছে। নাজিরহাট বাজারে ঝাড় ফুল বিক্রেতা হাসেম মিয়া বলেন,এখন ঝা ফুলের মৌসুম পাহাড়ি হাট বাজার থেকে সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করি। ভালই বিক্রি হচ্ছে।

ঘর বাড়ি দোকানপাট থেকে শুরু করে  সর্বত্র পরিস্কার কাজে ফুল ঝাড়ু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখন ঝাড়ু ফুলের মৌসুম। কাঁচা ঝাড়ু ফুল সংগ্রহ করে শুকিয়ে সারা বছরের জন্য রেখে দেয় ব্যবহারকারীরা। 

ক্রেতা মোছেনা বেগম বলেন,মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে তেমন পাওয়া যায় না দোকানে পাওয়া গেলেও দাম বেশি থাকে। তাই প্রতি মৌসুমে এক বছরের জন্য ঝাড়ু ফুল নিয়ে থাকি। 

জানা যায়, এক সময় ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমান এ ঝাড়ু ফুল জন্মাতো। সভ্যতার ক্রম বিকাশে অপরিকল্পিতভাবে বন জঙ্গল উজাড় করার ফলে পাহাড়ি এ ফুল এখন আর তেমন পরিলক্ষিত হয় না। এখন কিছুটা দেখা মিলে হাটবাজারগুলোতে বিক্রেতারা বিভিন্ন অঞ্চল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতে আনে বলে। 

ফলে বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগ্রহি হচ্ছে না চাষিরা। তবে সচেতন মহল মনে করেন বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদন হলে এ ঝাড়ু ফুলের দেশ বিদেশে বিপুল সম্ভবনা রয়েছে।

-সিভয়েস/এস

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়