Cvoice24.com


সীতাকুণ্ডে ক্ষতিকারক রঙ মেশানো মাছ জব্দ

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সীতাকুণ্ডে ক্ষতিকারক রঙ মেশানো মাছ জব্দ

ছবি: সিভয়েস

সীতাকুণ্ডে ভাল দামে মাছ বিক্রি করতে দীর্ঘদিন ধরে মাছে ক্ষতিক্ষারক রঙ মিশিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২০০ কেজি ক্ষতিকারক রঙ মেশানো চেউয়া মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মাছগুলোকে ডিজেল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

আজ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি ) দুপুর ১২টায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. সেলিম রেজা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই প্রদ্যুৎ রায়।

জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রঙ সুন্দর তাজা রাখতে প্রতিদিন মাছে ক্ষতিকারক রঙ মিশিয়ে উপজেলার ভাটিয়ারি বাজার, মাদামবিবির হাট, জলিল, ফৌজদারহাট, কুমিরা, সীতাকুণ্ড, দারোগাহাট বাজারে বিক্রি করছে। আর এসব মাছ খাওয়ার পর শরীরে বাঁধে বিভিন্ন রোগের বাসা। মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিক্ষারক রঙ মেশানো মাছ খেলে হতে পারে ক্যান্সারেরমত মরণব্যাধি রোগ।

সজল নামে এক মাছ বিক্রেতা জানান, মাছের ভাল দাম পেতে এবং মাছগুলো যাতে বেশিক্ষণ তাজা থাকে সেজন্য রঙসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল দেওয়া হয়। তবে যারা খুচরা মাছ বিক্রেতা তারাও অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেনা।

নিয়মিত মাছ ক্রেতা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা কোন মাছে ভেজাল আছে বা নেই বুঝতে পারিনা। খালি চোখে সেটা বুঝা সম্ভবও না। প্রশাসন যদি এদিকে নজর দেন এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয় তাহলে বন্ধ হবে এসব রঙ মেশানো ভেজাল মাছ। তাতে বাঁচব আমরা, বাঁচবে আমাদের ছেলে মেয়েরা।

ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মৎস্য অফিসার সেলিম রেজা বলেন, বাজারে মাছে ক্ষতিকারক রঙ মেশানো বিষয়ে সবসময় তৎপর। আমরা সঠিক তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসি। তারপরও অনেক সময় সঠিক তথ্য না পাওয়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ব্যঘাত ঘটে। আমরা এখন নিয়মিত সব বাজারে অভিযান পরিচালনা করব।

তিনি বলেন, আজ মৎস্য পরিদর্শন মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী উপজেলর কুমিরাতে দুইশ’ কেজি ছেউয়া মাছ জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

-সিভয়েস/এসএ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়