Cvoice24.com


নির্বাচনে ‘অনিয়ম’ বিচার করবে জনগণ- ড. কামাল

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
নির্বাচনে ‘অনিয়ম’ বিচার করবে জনগণ- ড. কামাল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অনিয়ম’ নিয়ে গণশুনানি শুরু করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গণশুনানির শুরুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বিচারক নই। কোনও বিচার করার ক্ষমতা বা কর্তব্য নেই আমাদের। গণশুনানি হচ্ছে, প্রার্থীরা জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। বিচার যেটা হচ্ছে সেটা ট্রাইব্যুনালে হবে। আর গণআদালত যেটা বলা হয়, সেটার বিচার জনগণ করবে। আমরা এসেছি অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য। যে বক্তব্য আসবে সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।

আজ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এই গণশুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে চকবাজারের চুড়িহাট্টাতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব করেন।

গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানোনো উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছেন। দলের নেতাদের ধারণা হলো, নির্বাচনে আসলে কী ঘটেছে, সেটা জনগণকে জানানো দরকার। কেননা তারা ক্ষমতার মালিক হিসেবে ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলনে শুধু বাধা নয় দমিয়ে রাখা হয়েছিলো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায়, যা ইচ্ছা তাই করছে সরকার। তাকে কোনও কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে হয় না।

গণশুনানিতে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত আছেন, গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ড. নুরুল আমিন বেপারী, ড. মহসিন রশীদ, ড. আনিসুর রহমান খান, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী ও ড. আসিফ নজরুল।

২৯৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ধানের শীষের প্রার্থীদের গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া গত নির্বাচনে যারা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা শোনা হচ্ছে। ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি দলের প্রার্থীদের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হলেও সকাল ১০টা নাগাদ অন্য কোনও দলের কাউকে দেখা যায়নি। ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কোনও প্রার্থী গণশুনানিতে আসেননি।

গণশুনানি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারসহ ঐক্যফন্ট মনোনীত প্রার্থীরা।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়