Cvoice24.com


‘মুখ দেখে দেখে সাহায্য দেয়!’

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
‘মুখ দেখে দেখে সাহায্য দেয়!’

চাক্তাইয়ের বেড়া মার্কেট বস্তি

চাক্তাইয়ের বেড়া মার্কেট বস্তির আকাশে বাতাসে এখনও লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নিমিষে ছাই হয়ে যায় শতাধিক ঘর । জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেল ৮ টি তাজা প্রাণ। জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ইট-পাথরের শহরে ছুটে আসা হতদরিদ্র শতাধিক পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে খুঁজে নিয়েছিল এই বস্তি। তাদের সেই আশ্রয় এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। সর্বগ্রাসী আগুনের লেলিহান লেহনের চিহ্ন হয়ে আছে। ওদের মাথা গোঁজার ঠাঁই এখন খোলা আকাশ। বস্তির ছোট ছোট ঘরগুলোতে স্বপ্ন ছিল। আজ সেখানে শুধুই হাহাকার। বস্তিবাসীর অভিযোগ তাদের খোঁজ অনেকে নিলেও আর্থিক ও মানসিক সাহায্য বেশি ভাগ বস্তিবাসী পাননি। এছাড়া অনেকে সাহায্য দিচ্ছেন মুখ দেখে দেখে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)  সরজমিনে দেখা যায়,  পুড়ে যাওয়া টিনগুলো দিয়ে কেউ কেউ আবার ঘর তৈরি করছে। কথা হয় রাহেনা নামে মধ্য বয়সী এক নারীর সঙ্গে। যিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং স্বামী শাহজাহান মিয়াকে নিয়ে দুটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।

রাহেনা জানান, তিনি বাসা-বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ করেন। তার স্বামী নৈশ্য প্রহরী। অভাবের তাড়নায় চট্টগ্রাম আসা। চট্টগ্রাম এসে দিনরাত পরিশ্রম করে যে সংসারটি তিনি গড়েছেন তা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাই মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তার বাসার জমানো ৩৫ হাজার টাকা পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি। 
রাহেনার অভিযোগ একটি নতুন শাড়ি সাহায্য ছাড়া আর কিছু পাননি। বিভিন্নভাবে অনুদান আসলেও তা সুষম বন্টন হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি। 

তবে পুড়ে যাওয়া কয়েকজন ভাড়াটিয়া জানান, তারা সবাই চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। এই মাস তাদের এখানেই থাকার কথা। অথচ তারা লোকমুখে শুনেছেন এখানে নাকি তাদের থাকতে দেয়া হবে না। এমন অবস্থায় তারা কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

ফরিদ কলোনির মালিক ফরিদ সওদাগর বলেন, অনেকে সাহায্য করেছেন। তালিকা না করার কারণে সুষম বন্টন হয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মুখ দেখে দেখে সাহায্য দেয়া হয়েছে। আমার ভাড়াটিয়ারা ঠিক মত সাহায্য পায়নি।

-সিভয়েস/ওআই/এস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়