Cvoice24.com

পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতি
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসিকে ইউএনও’র চিঠি

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসিকে ইউএনও’র চিঠি

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিম শরীফ

পাবলিক পরীক্ষার  দায়িত্বে অবহেলার দায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিম শরীফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক কে চিঠি দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোবারক হোসেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি এ চিঠি দেন।

জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া পত্র সূত্রে জানা গেছে,  গত ২৬ শে জানুয়ারী প্রশ্নপত্র যাচাই-বাছাই ও সর্টিং এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও কেন্দ্র সচিবরা সঠিক সময়ে উপস্থিত হলেও  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিম শরীফ উপস্থিত হননি।
সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. রফিকুল হোসেন তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। 

পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা পুনরায় ফোন করলে তাকে ফোনে অপেক্ষমান পান এবং তার পরপরই ফোন বন্ধ করে দেন।

৩ দিন পর ২৯'শে জানুয়ারী সোনাকানিয়া মজিদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের জন্য ৫ প্যাকেট "খ" সেটের এর সাথে ১ প্যাকেট ক সেট প্রশ্ন খামভর্তি করেন। যার কারনে ২ ফেব্রূয়ারি কোরআন ও তাজবীদ বিষয়ে ১০০ জন পরীক্ষার্থীর ভুল সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পত্রে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় সাতকানিয়া আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের উত্তরপত্র জমা না দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরীক্ষা গ্রহনের ৭ ঘন্টা পর কেন্দ্র সচিব উত্তরপত্র থানায় জমা দিতে গেলে অফিসার ইনচার্জ তা গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোবারক হোসেন ও সহকারী কমিশনার দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গার উপস্থিতিতে কেন্দ্র সচিবের মুচলেকায় থানা কর্তৃপক্ষ তা গ্রহন করে।

জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এর সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাবলিক পরীক্ষায় বারবার দায়িত্বে অবহেলার সুযোগ নেয়। যাদের দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতি পাওয়া যাচ্ছে তাদের অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় গাফিলতি ও অবহেলার দায়ে অব্যাহতি দেয়া হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। ইতিপূর্বে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে এমপিও, উপজেলা স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া সমিতির অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

সিভয়েস/এএস

 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়