Cvoice24.com


পেয়ারা খেলে মিলবে ১১টি রোগ থেকে মুক্তি

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
পেয়ারা খেলে মিলবে ১১টি রোগ থেকে মুক্তি

ইন্টারনেট

একটা গোটা পেয়ারার দাম কত? একটা সিগারেট কিংবা এক কাপ চায়ের থেকেও কম! এহেন সহজলভ্য পেয়ারাকে চিকিৎসকরা বলছেন ‘সুপারফুড’। কেন? কারণ পেয়ারায় আছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। পেয়ারায় মেলে ভিটামিন এ, সি, ই। এছাড়া রয়েছে শরীরের জন্য অপরিহার্য আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন, লুটিন, লাইকোপিন। এছাড়া অন্যান্য ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে এই ফলে। জানলে অবাক হবেন, কমলালেবুর চাইতে চারগুণ ভিটামিন সি ও কলার থেকেও বেশি পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে পেয়ারায়! এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে আনারসের থেকেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন আর ফাইবার পাওয়া যায় পেয়ারায়। টম্যাটোর থেকে প্রায় দু'গুণ বেশি লাইকোপিন পাওয়া যায় পেয়ারায়। আবার আপেল, বেদানা, খেজুর, আম, কলা ও আঙুরের থেকেও বেশি মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মেলে পেয়ারায়।  রোগ প্রতিরোধে পেয়ারা—

১ . ডায়াবেটিস: এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে পেয়ারা খেলে রক্তে সুগার শোষিত হয় ধীরে ধীরে। এছাড়া পেয়ারা পাতা থেঁতো করে তার রস পান করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

২ . ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশায়: শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতার রসেও থাকে অ্যান্টিঅক্সিজেন্ট উপাদান। ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশা সারাতে ১০ থেকে ১২টি পেয়ারা পাতা চার কাপ জলে ফুটিয়ে এককাপ পরিমাণ থাকতে নামিয়ে নিন। পেয়ারা পাতার ক্বাথ এইসব রোগ সারাতে সাহায্য করে।

৩ . কোলেস্টরল কমায়: পেয়ারা পাতার রস খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস কমাতে সাহায্য করে।

৪. উচ্চ রক্তচাপ: পেয়ারায় থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। ফলে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৫. ক্যান্সার প্রতিরোধ: পেয়ারা পাতার রসে অ্যান্টিক্যান্সার ও অ্যান্টি টিউমার প্রভাব আছে। পেয়ারায় থাকা লাইকোপিন, কুয়েরসিটিন ও ভিটামিন সি ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই ধরনের উপাদান শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যা ডিকেলস কমায়। বিশেষ করে লাইকোপিন নামে উপাদানটি পাকস্থলী, ব্রেস্ট, প্রস্টেট ও মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬ . বয়স কম দেখাতে: ত্বক টানটান থাকলে বয়সও কম দেখায়। পেয়ারায় থাকে প্রচুর জরুরি খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের জরা-বার্ধক্য কমায়। প্রতিদিন পেয়ারা খেলে ত্বকের বলিরেখা পড়া প্রতিরোধ হয়। এছাড়া ব্রণ, ফুসকুড়ি হওয়া রোধ হয়। আবার পেয়ারা পাতা জলে ফুটিয়ে মুখ ধুলে ত্বক উজ্বল হয়।

৭ . কোষ্ঠকাঠিন্য: পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া আটকায়। অর্শ রোগে পেয়ারা খুব উপকারী। পেয়ারা খেলে পৌষ্টিকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে।

৮ .  ওজন ঝরাতে: পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীর থেকে ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। 

৯ . দাঁতের রোগে: দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে, গলা খুশখুশ করলে, মাড়ির ফোলাভাব ও রক্তপাতজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা জলে ফুটিয়ে, সামান্য উষ্ণ অবস্থায় ওই জল দিয়ে কুলি করলে উক্ত সমস্যাগুলি কমে। মুখের দুর্গন্ধও নাশ হয়।

১০ . সর্দি-কাশি: নিয়মিত পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সাধারণ সর্দিকাশি হয় না চট করে। এছাড়া সর্দিকাশির সময়েও পেয়ারা খেলে রোগ সারাতে সাহায্য করে।

১১ .  দৃষ্টিশক্তি: পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

সিভয়েস/এএস

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়