মহাকাশে কেবল মক্কা-মদিনা ছিল দৃশ্যমান, বাকি সবই অন্ধকার : সুনিতা

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯
মহাকাশে কেবল মক্কা-মদিনা ছিল দৃশ্যমান, বাকি সবই অন্ধকার : সুনিতা

এমনকি মহাকাশ অঙ্গনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সম্পর্কে সুনিতা উইলিয়াম নিজেই বলেছেন যে, ‘আমি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ মাইল উপরে উঠলাম, তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে দুটি তারা (আলো) দেখতে পেলাম। এর পর একটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো দুটি দেখার চেষ্টা করলে দেখি, একটি আলোর অবস্থান মক্কায় আর অন্যটি মদিনায়। এই দৃশ্য দেখার পর আমি প্রচণ্ডভাবে অভিভূত হই এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে ইসলাম গ্রহণ করি ফিরে এসে।

একটি নভোযান পাঠানো হলো বরাবরের মতোই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে। ২০০৬ সালের কথা। যে অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছিল মহাকাশের খোঁজখবর সংগ্রহ করাই।অন্য গবেষকদের সঙ্গে সে নভোযানে অবস্থান করছিলেন সুনিতা উইলিয়াম। মহাকাশ গবেষণাযানটি যখন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৪০ মাইল উপরে, হঠাৎ নিচের দিকে চোখ আটকে যায় সুনিতার। পৃথিবী পৃষ্ঠে তারার মতো তিনি দুটি আলো জ্বলতে দেখলেন। তখন চিন্তায় পড়ে গেলেন সুনিতা; ভাবলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠে তো কোনো আলোকশিখা থাকার কথা নয় এভাবে জ্বলে থাকার মতো। সঙ্গীদের ডেকে দেখালেন এবং টেলিস্কোপের সাহায্যে আলো দুটিকে নির্ণয় করার চেষ্টা চালালেন।

তবে এই আলোকরশ্মি দুটি কি? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো সুনিতার। আরো কাছে, আরো পরিষ্কারভাবে দেখলেন, আলো দুটির কেন্দ্রস্থল পৃথিবীর মক্কা ও মদিনা। মহাকাশমুখি এই আলোকরশ্মি দুটি বিকিরিত হচ্ছে মক্কা শহরের কেন্দ্রস্থল ও মদিনা শহরের কেন্দ্রস্থ থেকে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনিতা উইলিয়াম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ায়ো অঙ্গরাজ্যের ‘ইউক্লিডে’ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা দীপক পাণ্ডে ও মা বনি পাণ্ডে উভয়ই ছিলেন ভারতীয় হিন্দু। সব জল্পনা-কল্পনা এবং সন্দেহ-কানাকানির ইতি টেনে গত রমজান মাসে ওমরাহ পালন করতে এসে নিজের মুসলমান হওয়ার ঘোষণা দিলেন সুনিতা উইলিয়াম এবং গর্ব করে বললেন, ‘আমি এখন একজন মুসলমান, এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।’

নাসার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুনিতার ইসলাম গ্রহণ করা বিষয়ে তাঁকে চেনেন বা জানেন এমন অনেকের মন্তব্য ছিল অনেকটাই এরকম- ‘আর কারো পক্ষে সম্ভব হলেও সুনিতার পক্ষে এটা কখনো সম্ভব নয়। কারণ সে ছিল ইসলাম বিদ্বেষী’। আর আমি এখন একজন মসলমান।’ ইসলাম গ্রহণ করা নিয়ে শত জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে ওমরাহ পালন করতে আসা সুনিতা উইলিয়াম জেদ্দার হোটেল হিলটনে বসে এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার কাহিনী। সাংবাদিকদের শোনাচ্ছিলেন তাঁর মুসলমান হওয়ার রোমাঞ্চকর গল্প। এ সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করার নেপথ্যে থাকা ঘটনা ব্যক্ত করার পাশাপাশি উত্তর দেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও।
যে দেশে কোন মসজিদ নেই, গোপনে নামাজ পড়েন মুসলমানেরা! ‘জানেন এই থিম্পুতে ৯টি গির্জা আছে। অথচ কোনো মসজিদ নেই। আমরা মুসলমানেরা তো কম নই। আপনি মিডিয়ার লোক। যদি পারেন ভুটানে মসজিদ নেই এ বিষয়ে কিছু একটা করেন।’ ক্ষোভের সাথে কথাগুলো বলছিলেন হাজী আবদুল কাদের। ভারতের বিহারের এই মুসলমান বিয়ে করেছেন ভুটানি এক মহিলাকে। থাকেন থিম্পুতে। গোশত আর মাছের ব্যবসা আছে তার।

থিম্পুর কক টাওয়ারসংলগ্ন নারজিন ল্যাম সড়কে তার গোশতের দোকান। ভারতের ব্যাঙ্গালুর থেকে গরুর হালাল গোশত আমদানি করে বিক্রি করেন থিম্পুতে। থিম্পুতে একমাত্র ওই দোকানেরই এক অংশে নামাজ ঘর বানিয়েছেন তিনি। ছোট পরিসরের এই রুমেই হয় জুমার নামাজ। পায়ের ব্যথার জন্য থিম্পু ইমটাটে ভারতীয় গ্রিফ কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে থাকা নামাজ ঘরে যেতে পারেন না তিনি। তাই ১২-১৩ বছর আগে বিশেষ অনুমতি নিয়ে এই নামাজ ঘর বানিয়েছেন তিনি। এই নামাজ ঘরের মুসল্লিরা আবার হাতেগোনা ৩০-৩৫ জন। শুধু জুমার নামাজই পড়ার সুযোগ পান এখানে। মুসল্লিরা সবাই ভারত থেকে থিম্পুতে রুটি-রুজির জন্য আসা নিম্ন আয়ের গরিব মুসলমান। অন্যদের এখানে নামাজ পড়তে দিতে চান না আবদুল কাদের। তাকে দেয়া অনুমতির খবর জানাজানি হলে যদি ঝামেলা পোহাতে হয়। ভারতীয় মুসলমান আজিবর, রিপন শেখদের দেয়া তথ্য, ‘ভুটানে কাজ করা ভারতীয় শ্রমিকদের ৯০ শতাংশই মুসলমান’।

এই নামাজ ঘরের ছবি তুলতে গেলে ভীষণ আপত্তি এই মুসলমানদের। ‘ভাই আপনি যদি ছবি তোলেন এবং তা জানাজানি হয়ে যায় তাহলে এখানে আমাদের নামাজ পড়াই বন্ধ হয়ে যাবে।’ অনুরোধ নামাজিদের। এর পরও নিউজের প্রয়োজনে একটি ছবি তুলেছি। ২০১৩ সালে বিজেএমসি ফুটবল দলের সাথে ভুটান সফরের সময় এই হালাল গোশতের দোকানের সন্ধান পেয়েছিলাম ভারতীয় এক মুসলমানের কাছ থেকে।

তখন জানতাম না এখানে যে নামাজ হয়। সে সময় থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন তথ্য দিয়েছিলেন, ‘এখানে প্রকাশ্যে নামাজ পড়া নিষেধ। বাংলাদেশ দূতাবাসে আমরা জুমার নামাজের ব্যবস্থা করলেও পরে ভুটান সরকারের নির্দেশে তা বন্ধ করতে হয়।’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যাচ কভার করতে থিম্পুতে গিয়ে হোটেল গাসেলের কর্মচারী মইনুলের কাছে জানতে পারি থিম্পুতে বাংলাদেশীরা এক জায়গায় জুমার নামাজ পড়েন। সে স্থানকে মইনুলরা নাম দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ’। সময় স্বল্পতায় মইনুল সেখানে নিয়ে যেতে পারেননি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল কভার করতে গিয়ে এই গোশতের দোকান কাম নামাজ ঘরের সন্ধান পাই। কিন্তু আমাকে সেখানে জুমার নামাজ পড়ার অনুমতি প্রথমে দিতে চাইছিলেন না হাজী কাদের। কারণ আমি বিদেশী।

এসেছি বাংলাদেশ থেকে। কিছুক্ষণ পর অবশ্য দিলেন সবুজ সঙ্কেত। কিন্তু পরদিন আসরের নামাজ পড়তে গেলে বাধা দেন আবদুল কাদের। শেষ পর্যন্ত অনুরোধের সূরে বললেন, ‘ভাই দয়া করে আপনি আর এখানে নামাজ পড়তে আসবেন না। আজ পড়ে যান। এর পর থেকে আপনার হোটেলেই নামাজ আদায় করে নেবেন।’ নেপথ্য উল্লেখ করলেন, ‘আপনি বাইরের লোক। আপনি এখানে নামাজ পড়তে আসেন এটা জানাজানি হয়ে গেলে আমি খুব সমস্যায় পড়ে যাবো। বিশেষ অনুমতি নিয়ে আমি এখানে নামাজের ব্যবস্থা করেছি। আমরা কয়েক জনের জন্য।’ এরপর কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে তার অসহায় আত্মসমর্পণ, জানেন এভাবে কতজনকে যে আমি এখানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছি। এতে অনেক পাপ হয়েছে আমার। কিন্তু কী করব। আমি যে নিরুপায়। এখন আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করলেই হলো। ২০১৭ সালে ভারতের কুচবিহার থেকে আসা ইমাম মুর্শিদে আলমের ইমামতিতে জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ হয়েছিল। ২০১৮ সালের আগস্টে ইমামহিসেবে পেয়েছি নজরুল ইসলামকে। অক্টোবরে আর নজরুলকে পাইনি।

তাকে নতুন করে ভুটানে কাজের অনুমতি দেয়নি ভুটান সরকার। তাই ফিরে গেছেন ভারতে। ৮-৯ বছর আগে নজরুলকে ভুটানি পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল এখানে নামাজ পড়ার জন্য। ফলে এর পর থেকে তারা গোপনে শুধু জুমার নামাজ পড়ে এই গোশতের দোকানে। আগে এখানে খতম তারাবিও হতো। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ভুটানে প্রাণী জবাই করা নিষেধ। ফলে কোরবানি দেয়ার জন্য ভারতীয় মুসলমানেরা চলে যান তাদের দেশে। অবশ্য ভুটানে গরু, ছাগল, মহিষ জবাই নিষিদ্ধ হলেও এর গোশত খেতে কোনো সমস্যা নেই। তাই ভারত থেকে জবাই করা এসব প্রাণীর গোশত আমদানি করা হয়। সাধারণ শ্রমিকের কাজও করে না ভুটানিরা। এই শ্রমিকও ভারতের।

এতে ভুটানিদের টাকা চলে যায় প্রতিবেশী দেশটিতে। এখন তা বুঝতে পারছে ভুটানিরা। কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলার দেশ ভুটান। রাস্তায় কোনো গাড়ি হর্ন বাজায় না। জেব্রা ক্রসিংয়ে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখলে গাড়ির ড্রাইভাররা থামিয়ে দেন গাড়ি। জনগণ নির্বিঘেœ পারাপার করেন রাস্তা। কেউ জেব্রা ক্রসিং ছাড়া রাস্তা পার হলে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে অর্থদণ্ড দিতে হয়। প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ। মদপানে বেশ এগিয়ে ভুটানিরা। কিন্তু তা করতে হয় নির্দিষ্ট স্থানে। ভুটানের প্রতিটি দোকানই যেন একটি মিনিবার। কোনো চোর ডাকাত নেই। রাস্তায় গাড়ি রেখে রাতে বাড়ি চলে যান স্থানীয়রা। সবাইকে অবশ্য গাড়ি রাখার জন্য পয়সা দিতে হয় সরকারের ভাণ্ডারে। সবার জন্য গাড়ি রাখার নির্দিষ্ট জায়গা আছে। থিম্পুর গাসেল হোটেলের মালিক সনম জানান, ‘আমরা ভুটানিরা চোর নই। চুরি চামারির ঘটনা ঘটায় ভারত থেকে আসা লোকেরা।’

ভুটানিরা যে সৎ এর প্রমাণও মিলল। থিম্পুর চাংলিমাথান স্টেডিয়ামের গ্যালারির এক কোণায় ব্যাগ রেখে অন্যত্র গিয়ে দেখলাম কেউ আমার ব্যাগটি ছুঁয়েও দেখেনি। এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবলের ফাইনালের দিন ভুটানে কর্মরত বাংলাদেশী নাশিদ ভুল করে গ্যালারিতে তার ছাতা রেখে চলে চান। এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে নির্দিষ্ট স্থানেই পান তার ছাতাটি। কেউ নেয়নি। মোটামুটি লেখাপড়া জানা সব ভুটানিই ভালো ইংরেজি জানেন। জাতি হিসেবে বেশ ভদ্র। ২০০২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছয়বার ভুটান সফরে তাদের এমনই পেয়েছি। তবে এখন দেশটির যুবসমাজ পর্নোগ্রাফি ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পরিসংখ্যানে তা ধরা পড়েছে। জানান স্থানীয় কুইনসেল পত্রিকার সাংবাদিক সনম ছোডেন। মিডিয়ার অবশ্য কোনো স্বাধীনতা নেই। সরকার বা আমলাদের বিরুদ্ধে কোনো নিউজ হলে চাকরি হারাতে হয় ওই সাংবাদিককে। তবে নাগরিকদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা ফ্রি। সরকারি খরচেই তাদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা। ভুটানে ডাক্তারদের প্রাইভেট চিকিৎসা নিষিদ্ধ। সবাইকে কাজ করতে হয় সরকারি হাসপাতালে। রাজাকে তারা খুব সম্মান করেন। নীতি ও নিষ্ঠাবান রাজা খুবই জনপ্রিয়। এত নিয়ম মানা দেশে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য কোনো মসজিদ থাকবে না তা মেনে নেয়া কষ্টকর।

মূলত বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে স্থানীয় মুসলমানের সংখ্যা খুব কম। তারা ভয়ে মুসলমান হিসেবে পরিচয়ও দিতে চান না। জানান ভারতীয় মুসলমান মুহাম্মদ হোসেন। পর্যটক হিসেবে আসা মুসলমানদের নামাজ সারতে হয় হোটেলে বা ঘরে। অবশ্য এবার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর শাবাব বিন আহমেদ জানান, আগে কী হয়েছে তা আমি জানি না। তবে আমরা এখন দূতাবাসে নামাজের ব্যবস্থা করেছি।জুমার নামাজও হয় সেখানে। রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী জানান, মাঝে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ছিল বাংলাদেশ দূতাবাসে। তবে এখন যারা নামাজ পড়তে আসেন তাদের গেটে নাম ঠিকানা লিখে এরপর নামাজ পড়তে আসতে হয়।’ গাড়ির গ্যারেজে জুমা ও ঈদের নামাজের ব্যবস্থা।

দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, নতুন যে স্থানে বাংলাদেশ দূতাবাস নির্মাণ করা হবে সেখানে নামাজের জন্যও নির্দিষ্ট স্থান থাকবে। ভুটানে অবস্থানরত ভারতীয় মুসলমানেরা এখন তাকিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের দিকে। বাংলাদেশ দূতাবাস যদি একটি মসজিদ বানায় তাহলে তাদের নিয়মিত নামাজের একটি জায়গা হবে। ভারত থেকে আসা বর্ষীয়ান আবদুল হাকিমের মতে, ভুটান সরকারের সাথে চমৎকার সম্পর্ক বাংলাদেশের। খন বাংলাদেশ সরকার যদি একটু জোর চেষ্টা চালায় তাহলে আমরা ভুটানে একটি মসজিদ পাবো নামাজের জন্য।’ বিডিনিউজ

তিনি ও আবদুল কাদের জানালেন, ‘ভুটানের ততীয় রাজা আগে ঈদের নামাজের সময় শুভেচ্ছা জানাতে আসতেন। তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন মসজিদের জন্য জায়গা দেয়ার। পরে তা আর হয়নি।’ বিশ্বের প্রায় সব দেশের রাজধানীতেই মসজিদ আছে। অথচ ব্যতিক্রম ভুটান। পুরো দেশের কোথাও নামাজের জায়গা নেই। কেন মসিজদ নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় ভুটানিদের মতে, মসজিদ নির্মাণ হলে তা হবে ইসলামের একটি সেন্টার। এতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভুটানিরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাবে। এ আতঙ্কেই মসজিদ নির্মাণে বাধা দেয়া।

সিভয়েস/এএইচ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়