Cvoice24.com

সংরক্ষিত নারী আসনে
আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারীনেত্রী মুন্নী

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯
আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারীনেত্রী মুন্নী

স্কুল জীবনেই জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী রাজনীতির সাথে। তারপর ২০০০ সালে প্রথম মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে রাজপথে সরব ছিলেন নগরীর বায়েজিদ থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ফেরদৌস বেগম মুন্নী। এবার তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আজ (১৮ জানুয়ারি) এরই লক্ষ্যে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ফেরদৌস বেগম মুন্নী ।

১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে নারীদের সুসংগঠিত করে লাইমলাইটে আসেন এ নারী নেত্রী। পরবর্তীতে প্রতিটি নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে মাঠে ছিলেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) সৈয়দা কাশপিয়া নাহরিন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন ‘সতের বছর তিন তিন বার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সফল কাউন্সিলার ফেরদৌস বেগম মুন্নী আপা এবং দলীয় ভাবে বায়জিদ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা, এবারের জাতীয় নির্বাচনের নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন, তৃণমূলে অনেক সময় দিয়েছেন তিনি। সংসদে ৫০ জনের মত সংরক্ষিত এমপি মনোনয়ন দেবেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আমাদের এলাকার দাবী আমাদের এলাকা থেকে এবার আপাকে সংরক্ষিত এমপি করা হোক, সব সময় অন্য এলাকা থেকে করা হচ্ছে। এবার আমাদের এলাকার একজন যোগ্য নারী নেত্রী ফেরদৌস বেগম মুন্নী আপাকে মূল্যায়ন করা হোক, প্রধান মন্ত্রী আশা করি অবশ্যই বিবেচনা করবেন। ’

সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফেরদৌস বেগম মুন্নী বলেন, স্কুল জীবন থেকে নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আছি। তারপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে লাগাতার তিন বার জয়ী হলাম জনগণের ভোটে। দলের সুদিনের চেয়ে দুর্দিন দেখেছি বেশি। এখন জনগণের চাওয়াতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। বাকিটা প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা দেখবেন।

২০০৪ সালে ২১শে আগস্ট হামলার স্মৃতিচারণ করে এ নেত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করবেন। সারাদেশের নারী কাউন্সিলরদের ডাক পড়লো সমাবেশে হাজির হতে। চট্টগ্রাম থেকে শুধুমাত্র আমি গিয়েছিলাম সেদিন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নারী কাউন্সিলর সীমা আর আমি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নেত্রীর ভাষণ শোনছিলাম, ঠিক তখনই একের পর একে গ্রেনেডর শব্দ। মুহূর্তেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। সেদিনের রক্ত আর আত্মনার্দের স্মৃতিগুলো এখনো আমাকে ভাবিয়ে তোলে। কতটুকু অপরাজনীতির স্বীকার হয়েছিল আমার প্রাণপ্রিয় দল আওয়ামী লীগ। হাসপাতালে আহত নিহত নেতাকর্মীদের দেখে চট্টগ্রামে পরেরদিন ফিরে আসি।

-সিভয়েস/আরএইচ

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়