Cvoice24.com


নগরীতে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কিচেন মার্কেট

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯
নগরীতে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কিচেন মার্কেট

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বিএমডিএফ'র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

নগরীর ফইল্যাতলী বাজার এলাকায় বাংলাদেশ মিউচুয়াল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ)'র অর্থায়নে প্রায় ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে কিচেন মার্কেট কাম কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স। প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে আজ (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং বিএমডিএফ'র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো সামসুদ্দোহা এবং বিএমডিএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিনুর রহমান। আগামী ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ মিউচুয়াল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড'র মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা প্রদান করে। এই অর্থ সহায়তার বিপরীতে নয়টি প্রকল্প উপস্থাপন করে চসিক। নানা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরবর্তীতে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি পায় চসিক। প্রকল্পগুলো হলো ৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কার্যালয় এলাকায় মাল্টিস্টোরিড কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ফইল্যাতলী বাজার এলাকায় কিচেন মার্কেট, ১৯ কোটি ৬৯ লাখ ব্যয়ে ফিরিঙ্গী বাজারে কিচেন মার্কেট এবং ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাকলিয়ায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ।

গত বছর ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আজ প্রকল্পের দ্বিতীয় উপপ্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৩০ গন্ডা জায়গার উপর দশতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবনে পার্কিং, কাঁচাবাজার, সুপার শপ, হেলথ কেয়ার সেন্টার, সুইমিং পুল ও অফিস নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন যাতে নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। এখন তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে নগরের মূল সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ বাজার বসে যানজট, অপরিচ্ছন্নতাসহ নানামুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। আমরা এই বাজার উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। হকারদের মত তাদেরকে পরিচয় পত্র, লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়রের একান্ত সচিব মফিদুল ইসলাম, চসিক সচিব আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, ঝুলন দাশ, সুদীপ বসাক, জসিম উদ্দিন, রিফাতুল করিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সিভয়েস/ইউডি/এএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়