Cvoice24.com


ইটভাটা থেকে স্কুলে ১২ শিশু

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯
ইটভাটা থেকে স্কুলে ১২ শিশু

সিভয়েস এর নিউজের জেরে পেকুয়ার ১২ শিশু শ্রমিক খুঁজে পেলো তাদের অাসল ঠিকানা। ৬-১১ বছর বয়সী এসব শিশু তাদের পিতামাতার সাথে ইটভাটায় কাজ করতে এসেছিল। তাদের সবার বাড়ী কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে। মো. ইরফান, ইকরামুল, মোবারক ও মারুফা বেগম সহ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতো ইট ভাটায়।

পিতামাতার সাথে এবিএম নামের একটি ইটভাটার শ্রমিকের সহযোগির কাজ করে দিনযাপন করা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ ছিল অনিশ্চিত। অল্প বয়সে কঠোর পরিশ্রম ও কর্মস্থলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও ছিল তাদের।

সম্প্রতি এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের পর টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ইটভাটা মালিক আহমদ নবীর প্রচেষ্টায় সেই ১২জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে বিদ্যালয়ে। প্রত্যেক শিশুকে দেয়া হয়েছে নতুন পোশাক, বইখাতা সহ শিক্ষার আনুষাঙ্গিক উপকরণ।

বুধবার (১৬জানুয়ারি) দুপুরে টইটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা যায়, শ্রেণী কক্ষের সেসব শিশুদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সাথে মিলেমিশে ক্লাসে মনোযোগী তারা।

শিশু ইরফান ও ইকরামুলের পিতা ইউনুছ মিয়া বলেন, সুযোগ-সুবিধা ও নানা প্রতিকূলতার কারণে না বুঝে আমি ছোট শিশুদের শ্রমিকের কাজে দিয়েছিলাম। এখন ইটভাটা মালিক ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। ইনশাল্লাহ তাদের শিক্ষা কার্যক্রম আর বন্ধ হতে দিবো না।

এ ব্যাপারে এবিএম ইটভাটার মালিক আহমদ নবী বলেন, ১২জন শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পেরে আমি আনন্দিত। মূলত তাদের পিতামাতার অবহেলার কারণে সময়মত তাদের বিদ্যালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এর আগে ২০১৬ সালেও আমার ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের ২৫ শিশু সন্তানকে আমি নিজ খরচে বই পোশাক দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবউল করিম বলেন, ইটভাটা শ্রমিকের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা আসলেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমার পক্ষ থেকে এসব শিশুদের প্রতি সুদৃষ্টি থাকবে।

https://cvoice24.com/news/18507?n=%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%2C-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8&fbclid=IwAR1g1ry55CtRX7K_BjMQT4UflPppkwn67QT4KWABNQSszZBSu2NVnzyW2mQ

-সিভয়েস/এস

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়