Cvoice24.com


হালদার বুকে চর

প্রকাশিত: ১৩:০২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯
হালদার বুকে চর

ফটিকছড়িতে হালদা নদীর বুকে এক বিশাল চর জেগেছে। ফলে এ চরে পানির স্রোত বাধা প্রাপ্ত হয়ে নদী অপর পাশের পাড় ভাঙ্গছে। বর্ষায় আরো বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

হালদা নদী ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার বুক চিরে প্রবাহিত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে শান্ত এই নদী বর্ষায় ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নদীর এক পাড়ে চর পরলে অন্য পাড় ভাঙ্গে। হালদার বুকে নাজিরহাট বাজারের পশ্চিম পাশে জেগেছে এক বিশাল চর। এটি বর্ষায় নাজিরহাট, রশিদা পুকুর পাড়, কুম্বার পাড়, পূর্ব সুয়াবিল, নাজিরহাট কলেজ সহ ৮-১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই চরের কারণে নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের নাজিরহাট কলেজ সংলগ্ন অংশ বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা এটি দ্রুত অপসারণ চায়।

নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. জাফর আলম জানান, হালদার বুকে অপ্রত্যাশিত এই চর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা এটি অপসারণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার জানিয়েছি। তার কোন পদক্ষেপ নেয়নি।  

নাজিরহাট পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী জানান, হালদার বুকে জাগা চরটি এখন আমাদের প্রধান আতংকের কারণ। বর্ষা শুরু হলে পাহাড়ী ঢল এই চরের সাথে ধাক্কা লেগে নদীর পূর্ব-পশ্চিম দুই পাড়ে আঘাত করে। এতে দুই পাড়ে ব্যাপক আকারে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। নাজিরহাট কলেজের সামনে রাস্তাটি মূলত এই চরের পানির আঘাতে বার বার ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে। এটি দ্রুত অপসারণ দরকার।  

হালদা নদী গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এ রকম অপ্রত্যাশিক চর মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়। স্থানীয় লোকজনকে বাড়ি ঘর ভরাট করার জন্য মাটি সংগ্রহ করতে অনুমতি দিয়ে দিলেই হয়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডে এই ডিভি অপসারণে বিশাল বরাদ্ধ চেয়ে বসে আছে। এটি কখনো আইনসিদ্ধ হতে পারে না।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মো. খুরশিদ আলম বলেন, হালদা নদীর নাজিরহাট বাজারের পশ্চিম পাশের চরটি অপসারণ করতে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ভাবে অনুমতি পেলে জনগণ স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করতেও রাজি আছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে উদ্যোগ নিলে ভাল হয়।

-সিভয়েস/এস

মো. রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়