বহদ্দারহাট-নতুন ব্রীজ রুটে অতিরিক্ত ভাড়া, যাত্রী ভোগান্তি
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে নতুন ব্রীজ (শাহ আমানত সড়ক) রুটে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলেই যাত্রীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকরা দুরব্যবহার করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবহন শ্রমিকদের আচরণ ও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরজমিনে দেখা যায়, এই রুটে চলা মাহিন্দ্রা গাড়িতে উঠা নামা ১০ টাকা হারে ভাড়া নেয়া হচ্ছে! অথচ বিআরটিএর ভাড়া চার্টে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া এই রুটে চলা রাইডার (৪ নম্বর রুট) গাড়ি গুলোও সন্ধ্যার পর অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। তারাও মাহিন্দ্রা গাড়ির অনুসরণে ১০ টাকা হারে ভাড়া নেয়। এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের সিন্ডিকেটের কারণে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। তারা বাধ্য হচ্ছে অতিরিক্তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে। এর প্রতিবাদ করলেই যাত্রীদের গালগালি ও মাঝ পথে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। অথচ সম্প্রতি সড়কটি সংস্কারের পর এই রুটে গাড়ি চলাচল আগে চেয়ে ভাল হয়েছে। আগে যেখানে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সময় লাগতো এখন ১০-১৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, এই রুটে মাহিন্দ্রা গাড়ির কোন নির্দিষ্ট সংগঠন বা সমিতি নাই। এ সকল গাড়ি মোহাম্মদ জাহেদ নামে একজন ব্যক্তি পরিচালনা করে।
মোহাম্মদ জাহেদের এ বিষয়ে বলেন, মাহেন্দ্র গাড়ির কোন সমিতি বা সংগঠন নাই। গাড়ি গুলো আমি পরিচালনা করি। চালকরা তাদের নিজেদের মতো করে ভাড়া নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কিছিই জানি না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো এসব গাড়ি কোন দুর্ঘটনা ঘটালে এর দায় কে নিবে? প্রায় সময় দেখা যায় ১২-১৫ বছর বয়সের কিশোররা মাহিন্দ্রা গাড়ি চালায়। তাদের কোন লাইসেন্স নেই।
বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিটেট এস এম মনজুরুল হক সিভয়েসকে জানান, এতো দিন ধরে রাস্তার কনাস্টাকশনের কাজের কারণে আমরা এইদিকটা দেখতে পারি নি। এখন যেহেতু যাত্রীদের হযরানি করা হচ্ছে যাত্রীদের সাথে অমানবিক আচারণ করা হচ্ছে আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ নিবো।
তিনি আরো বলেন, যাত্রী সেবা বলে তাদেরকে হয়রানি করা এটা একটি অমানবিক কাজ। যারা ১২-১৫ বছরের কিশোর গাড়ি চালায় তাদের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিব। আর যারা লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চালায় তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেট্টোপলিটন পরিবহন সমিতির মহাসচিব বেলায়ত হোসেন সিভয়েসকে বলেন, আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত এরকম কোন যাত্রীর অভিযোগ আসেনি। যদি এমন অভিযোগ আসে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো। আর যারা এধরনের ভাড়া নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।
এক পথযাত্রীর তোফাইলুর রহমান সিভয়েসকে জানান, পরিবহন কর্মীরা এমন ভাবে আচরণ করে যেন তাদের টাকা দিয়ে নির্মাণ করা সড়ক। তারা যাত্রীদের নিয়ে গাড়িতে তুলে আবার মাঝ পথে গিয়ে নামিয়ে দেয়। যাত্রীরা তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে কেন এমন কথা বললে বলে তাদের টাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে চালকরা। তিনি আরো বলে প্রতিনিয়ত এমন অশ্লীল আচারণের শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। এসব কিছু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দেখা প্রয়োজন।
বাকলিয়া এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর উচ্ছোদ কুমার দাশ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কোন অভিযোগ কেউ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
-সিভয়েস/এস
আজম উদ্দিন