Cvoice24.com


সেচ সংকটে বোরো আবাদ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১২ জানুয়ারি ২০১৯
সেচ সংকটে বোরো আবাদ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা

গত মৌসুমে উখিয়ায় বোরোর বাম্পার উৎপাদন হলেও চলতি মৌসুমে সেচ সংকটে পড়ে বোরো উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষকদের ধারণা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা হাজারের অধিক গভীর নলকুপ স্থাপন করেছে। যার ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ভুগর্ভস্থ পানির স্থর আশঙ্কাজনক ভাবে নিচে নেমে যেতে পারে। তাছাড়া নির্বিচারে পাহাড় কর্তন, গাছপালা ধ্বংসসহ বিভিন্ন কারণে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে মারাত্নক সেচ সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশ বাদী সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৬ হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ হাজার ৬শ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রোগ বালায় দূরীকরণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বোরো চাষে চাহিদামতো পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৮৬২ টি বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প ও ১২৬ টি ডিজেল চালিত সেচ পাম্প রয়েছে।

উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানান, গত মৌসুমে বোরোর যে বাম্পার উৎপাদন হয়েছে চলতি মৌসুমে তা নাও হতে পারে।

মাছকারিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, তার এলাকা সংলগ্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় আড়াই শতাধিক গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। এসব গভীর নলকুপের কারণে তাদের বসতবাড়ীর অগভীর নলকুপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, পালংখালী ও রাজাপালং ইউনিয়নে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক যেসব গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে তার কারণে স্বাভাবিকভাবে পানির স্থর অত্যাধিক নিচে নেমে যেতে পারে। এসময় যদি বৃষ্টিপাত হয় তা হলে বোরোর তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। তবে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব, অনাবৃষ্টি ও খরাই ফসলের হানি হতে পারে।

-সিভয়েস/আরএইচ

উখিয়া প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়