Cvoice24.com


এমপিদের উপস্থিতিতে প্রাণচাঞ্চল্য আ'লীগের বর্ধিত সভা

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৯
এমপিদের উপস্থিতিতে প্রাণচাঞ্চল্য আ'লীগের বর্ধিত সভা

ছবি : সিভয়েস

নির্বাচন পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং আগামী কর্মপরিধি নির্ধারণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করেছে। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব  বঙ্গবন্ধু হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মহানগর এলাকার  ছয়টি আসন আওতাধীন ৪১ ওয়ার্ড ও ১৬ থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন এ বর্ধিত সভায়। 

নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিতে তাদের ভূমিকা ও অবদান উপস্থাপন এবং তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক দূর্বলতা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছিল বর্ধিত সভার এজেন্ডা। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের আজকের সভায় চট্টগ্রাম -৯  সাংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  ও চট্টগ্রাম -১০ আসনের সাংসদ ডা. আফসারুল আমিনের উপস্থিতিতে প্রাণচঞ্চলতা লক্ষ্য করা গেছে। দুই সাংসদকে কাছে পেয়ে নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে তাদের স্ব স্ব কার্যক্রম তুলে ধরেন।

বিকাল ৪টার দিকে সভা আরম্ভ হলে নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে নীতি নির্ধারণী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের প্রার্থীদের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। নেতাকর্মীদের এই শ্রমের ফসল আজকের সাংসদবর্গ। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নগরের সব কয়টি আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পেরেছি। এজন্য নেতাকর্মীদেরকে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি আগামী ২৫ জানুয়ারি লালদিঘী ময়দানে সাংসদদের সংবর্ধনা উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে বৃহত্তর আয়োজনের মধ্য দিয়ে সফল করার ব্যাপারে সকল ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সবান্ধব উপস্থিতি আহবান করেছেন।

সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে জনমুখী রাজনীতি চর্চার ব্যাপারে তিনি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য দলীয় পর্যায় থেকে সাংসদদের সাথে সরাসরি সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, নগরের উন্নয়নে সরকারের সাথে দলীয় পক্ষ থেকে  সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সাংসদরা এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সচেষ্ট একথা যেমন সত্য, তেমনি এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সাংসদদের সমন্বয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দলীয়ভাবে গাইড লাইন থাকলে সেক্ষেত্রে সাংসদরা উন্নয়নে আরো গতিশীল ভূমিকা রাখতে পারবেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা বা অপরাপর সেবা সংস্থাগুলোর কাজও বেগবান করার জন্য এই সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটা সমন্বয় কমিটি গঠন করা সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, এই কমিটি সরকারের সাংসদের সাথে এলাকার নানামুখী উন্নয়ন বাস্তবায়নে কাজ করবে। এতে করে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর পাশাপাশি জনগণের কাছে সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা উপস্থাপিত হবে।

ডা. আফছারুল আমিন নির্বাচনে নেতাকর্মীদের নিরলস ত্যাগ তিতিক্ষা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আবার তিনি এই বিজয় উচ্ছ্বাস উদযাপনের পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিরোধী দলীয় নৈরাজ্য, নাশকতা মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায়  ওয়ার্ড, থানা আওয়ামী লীগ, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক লীগ সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, নগর যুবলীগ আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক এড. জিয়াউদ্দিন, নগর ছাত্র লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

-সিভয়েস/ইউডি/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়