Cvoice24.com


বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৯
বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহ

প্রতীকি ছবি

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসেই রেমিটেন্স আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকাররা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর হার বৃদ্ধির কারণে এই আয় বাড়ছে। বৈধ চ্যানেলের রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে ব্যাংকারদের নতুন নতুন ব্যাংকিং পণ্য নিয়ে প্রবাসীদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গেল ৫ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে সাড়ে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের পর কিছুটা ধারাবাহিক ভাবেই কমতে থাকে রেমিটেন্স আয়। তবে, ঘুরে দাড়াচ্ছে প্রবাস আয়ের এচিত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশি মিশনগুলোর তৎপরতা বাড়ানো গেলে রেমিটেন্স আয় আরোও বাড়ানো সম্ভব।

মাই ওয়ালেট কান্ট্রি ডিরেক্টর মাসুদ রানা মজুমদার বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে রেমিটেন্স ধীরে ধীরে কমছে। তার কারণ, রেমিটেন্সটা হুন্ডিতে বাড়ে বেশি।’

বাংলাদেশি অভিবাসি মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘বিদেশের নামে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যে ব্যবসা করছে, মানে মানুষকে প্রতারিত করানোর ব্যবসা। এই বিষয়টা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে রেমিটেন্সের বিষয়টা আয়ত্তে আনা যাবে।’

শ্রমশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, যে হারে প্রবাসির সংখ্যা বাড়ছে সেই হারে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স দেশে আসছে না। হুন্ডি ব্যবসা প্রতিরোধে দেশের সবগুলো ব্যাংককে একযোগে কাজ করার তাগিদও দিলেন বিএমইটি'র এই কর্মকর্তা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো পরিচালক ড. মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, ‘এমন কিছু নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য বিনিয়োগ ব্যবস্থা ব্যংকগুলোর করা উচিত। পাশাপাশি আমরা একটা জিনিস করতে চাই যে, রেমিটেন্সের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি আমাদের জনশক্তি ব্যুরো থেকে।’

চলতি অর্থবছরে রেমিটেন্স আসা শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ৬টিই মধ্যপ্রাচ্যের। বৈধ পথে রেমিটেন্স বাড়াতে এসব দেশে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা বাড়ানো কোনও বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকটা ব্যাংক তাদের নিজেদের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে দেখা যাবে যে তাদের যখন আমদানি করার জন্য যখন ডলার প্রয়োজন হবে তখন আর কেন্দীয় ব্যাংকের কাছে আর দারস্থ হতে হবে না।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকগুলোও উদ্যোগী হচ্ছে প্রবাসিদের দোরগোড়ায় সেবা পৌছাতে।

রূপালী ব্যাংক মহাব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশে আমরা একটু গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ করবো। আমরা ওদের কাছ থেকে জানতে চাইবো, কোথায় অসুবিধা হচ্ছে টাকা পাঠাতে এবং কেনো অসুবিধা হচ্ছে।’

রেমিটেন্স আহরণ ও বিতরণেই ব্যাংকের সেবা সীমাবদ্ধ না রেখে প্রবাসিদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন করা গেলে রেমিটেন্স আয়ের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন এখাত সংশ্লিষ্টরা।

-সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়